ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিল রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখির আগমন। এ বছর এখনও পর্যন্ত ৯৮,৫৩২টি পাখি এই পক্ষীনিবাসে এসেছে। এমনই জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দফতরের করা একটি সমীক্ষায়।
রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার দ্বীপর্ন কুমার দত্ত বলেন, “অনেক বছরের মধ্যে এ বারই এত বেশি সংখ্যক পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটল এখানে।” তাঁর মতে, এশিয়ার মধ্যে কুলিকই একমাত্র যেখানে সব থেকে বেশি সংখ্যক ওপেন বিল স্টর্কের দেখা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “৯৮ হাজার পাখির মধ্যেই ৬৭ হাজার পাখিই ওপেন বিল স্টর্ক। এ ছাড়াও নাইট হেরন, লিটল ইগ্রেটস ও করমোরেন্টের দেখা পাওয়া যায় কুলিকে।”
সাধারণত জুন থেকে নভেম্বরের মধ্যেই সব থেকে বেশি পাখির আগমন ঘটে এই পক্ষীনিবাসে। পক্ষীনিবাসের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে কুলিক নদী। এর ফলে পাখি আরও বেশি আসে বলে মনে করেন দ্বীপর্নবাবু। তাঁর কথায়, “নদী থাকার ফলে পাখিদের খাবারের জোগানের কোনো সমস্যা হয় না। পাখিরা সাধারণত মাছ এবং শামুক খায়।”
মোট ১৬৪ রকমের পাখির দেখা মেলে এই কুলিকে। দ্বীপর্নবাবুর আশা, এই পাখির আগমনের মধ্যে দিয়েই পুজোর মরশুমে পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে এখানে।
কী ভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে রায়গঞ্জ যাওয়ার জন্য রয়েছে কল্কাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। ট্রেনটি প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কলকাতা থেকে ছেড়ে পরের দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় রায়গঞ্জ পৌছয়। এ ছাড়া কলকাতা থেকে নিয়মিত বাস ছাড়ছে রায়গঞ্জের জন্য।

কোথায় থাকবেন?
রায়গঞ্জ শহরে থাকার জন্য বেশকিছু বেসরকারি হোটেল রয়েছে। কিন্তু কুলিক পক্ষীনিবাসের কাছেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের রায়গঞ্জ টুরিস্ট লজ। শহুরে কোলাহলের থেকে বাইরে এবং কুলিক নদীর ধারে হওয়ায়, রাত কাটানোর জন্য এই টুরিস্ট লজ বেশ ভালো। অনলাইনে বুক করার জন্য লগইন করুন www.wbtdcl.com.