• https://dewanarsitek.id/var/index/
  • https://ept.metropolitanland.com/
  • https://data.pramukajabar.or.id/
  • http://103.206.170.246:8080/visi/
  • https://mpp.jambikota.go.id/
  • https://lms.rentas.co.id/
  • https://utbis.ollinsoft.com/
  • https://bppsdmsempaja.kaltimprov.go.id/
  • https://fmipa.unand.ac.id/
  • https://sptjm.lldikti4.id/banner/
  • mbokslot
  • https://e-journal.faperta.universitasmuarabungo.ac.id/
  • https://link.space/@splus777
  • https://sptjm.lldikti4.id/storage/
  • https://apps.ban-pdm.id/simulasi/hoaks/
  • https://editoriales.facultades.unc.edu.ar/cache/assets/
  • https://dewanarsitek.id/dewan/
  • https://dms.smhg.co.id/assets/js/hitam-link/
  • https://smartgov.bulelengkab.go.id/image/
  • https://app.mywork.com.au/
  • slotplus777
  • https://heylink.me/slotplussweet777/
  • https://pastiwin777.uk/
  • Mbokslot
  • http://103.81.246.107:35200/templates/itax/-/mbok/
  • https://rsjdahm.id/vendor/
  • https://pastiwin777.cfd/
  • https://rsjdahm.id/Vault/
  • https://heylink.me/Mbokslot.com/
  • https://www.intersmartsolution.com
  • https://sikapro-fhisip.ut.ac.id/
  • কালিম্পঙের মর্গ্যান হাউস কি ভূতুড়ে বাড়ি? একবার গিয়ে থেকে আসুন না! - Bhramon Online
    গন্তব্যরাজ্য

    কালিম্পঙের মর্গ্যান হাউস কি ভূতুড়ে বাড়ি? একবার গিয়ে থেকে আসুন না!

    ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: মাঝে বয়ে গিয়েছে তিস্তা, একদিকে দার্জিলিং পাহাড়, অন্যদিকে কালিম্পং পাহাড়। উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন-গন্তব্য। হিমালয়ের অন্দরে প্রকৃতির বাস। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন দিলে তো কথাই নেই, ভ্রমণের খরচ একেবারে ষোলোআনা উসুল।

    আপাতত চলুন কালিম্পং। কালিম্পঙে থাকার বহু ব্যবস্থা আছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের রয়েছে তিনটে জায়গা – হিল টপ ট্যুরিজম প্রপার্টি, তাশিডিং ট্যুরিজম প্রপার্টি, আর মর্গ্যান হাউস ট্যুরিজম প্রপার্টি। এবার কালিম্পঙে গিয়ে থাকা যাক মর্গ্যান হাউস ট্যুরিজম প্রপার্টিতে, সাধারণের কাছে যার পরিচয় মর্গ্যান হাউস হিসাবে।

    কালিম্পং শহরের দুরপিনদাঁড়া পাহাড়ের শীর্ষে ১৬ একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে আছে মর্গ্যান হাউস। এখানে কটেজও আছে, তবে সেখানে থাকবেন না। থাকবেন মর্গ্যান হাউস বাড়িটিতে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ এই মর্গ্যান হাউস। দোতলা এই বাড়িটি পাথর আর কাঠ দিয়ে তৈরি। পাটের কারবারি জর্জ মর্গ্যান ১৯৩০ সালে এই বাড়িটি তৈরি করেন বলে শোনা যায়।

    ভারত স্বাধীন হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁরা তাঁদের দেশে ফেরেননি। ষাটের দশকের একেবারে গোড়ায় মি. মর্গ্যান মারা যান। মিসেস মর্গ্যানও বেশি দিন বাঁচেননি। ১৯৬৪ সালে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে তিনি মারা যান। মর্গ্যানদম্পতির কোনো উত্তরাধিকারী ছিল না। তাই ১৯৬৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দফতর বাড়িটি অধিগ্রহণ করে। ১০ বছর পরে এই বাড়িটি তুলে দেওয়া হয় রাজ্যের ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের হাতে।

    এর বহু বছর পরে মর্গ্যান হাউসকে নিয়ে গল্প ছড়াতে শুরু করে। এটা নাকি ভূতুড়ে বাড়ি, এখানে মিসেস মর্গ্যান নাকি ঘুরে বেড়ান। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, সৎ উদ্দেশ্যেই বাড়ির চারপাশে, বাড়ির মধ্যে ঘুরে বেড়ান তিনি। দেখেন, সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, অতিথিদের ঠিকমতো যত্নআত্তি করা হচ্ছে কি না ইত্যাদি।

    যে সব সরকারি কর্মী মর্গ্যান হাউসের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা ভূতের গল্প হেসে উড়িয়ে দেন। তাঁদের বক্তব্য, এসব গল্পের কোনো ভিত্তি নেই। পর্যটকেরা এখানে থাকার সময় প্রায়ই বলেন, রাতে ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ হয়েছে। মনে হচ্ছে অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটনা ঘটছে। আসলে যে সব কর্মী রাতে ডিউটিতে থাকেন তাঁরা করিডোর দিয়ে হেঁটে যান, জানলা বন্ধ করতে হয়, করিডোরের আলো নেভাতে হয়। রাত্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে, সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না তা দেখতে তাঁদের অনেক রাত পর্যন্ত জাগতে হয়। বাড়ির সিঁড়ি, মেঝে সব কাঠের তৈরি। বাড়িটা এরকম একটা নির্জন এলাকায়। করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলেই তার শব্দ হয়, প্রতিধ্বনি হয়। সুতরাং ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ শুনতে পাওয়া তো স্বাভাবিক ব্যাপার।

    তার পর সোশ্যাল মিডিয়া তো আছেই। পর্যটকরা আসবেন, হাতে-মুখে অদ্ভুত রঙ লাগাবেন, তার পর রিল করে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়বেন। সেই ভিডিও বা ভ্লগ ভাইরাল হবে। আর সাধারণের মধ্যে এই ধারণা গেঁড়ে বসবে যে মর্গ্যান হাউস ভূতের বাড়ি।   

    এতশত যুক্তির পরেও কিন্তু স্থানীয়দের বিশ্বাস যায় না। কালিম্পঙের যে সব গাড়ি পর্যটকদের নিয়ে মর্গ্যান হাউসে আসেন, তাঁদের জিগগেস করুন। তাঁরা কিন্তু ভূতের গল্প শোনাবেন। বলবেন, তিনি অবশ্য দেখেননি, কিন্তু স্থানীয় মানুষজন বলেন, ‘তিনি’ এখনও থাকেন সেখানে। তবে চিন্তার কিছু নেই। তিনি কোনো পর্যটকের ক্ষতি করেন না। কিন্তু যারা এই সম্পত্তিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বা এখানে ঢুকে কুকর্ম চালায়, বিশেষ করে রাতে, তাদের মিসেস মর্গ্যানের মুখোমুখি হতে হয়। আসলে তিনিই হলেন এই সম্পত্তির অভিভাবক।

    এই নিয়ে এখানকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, বিশ্বাস বলুন বা অপবিশ্বাসই বলুন, সাধারণত কোনো জায়গায় কারও অপঘাতে মৃত্যু হলে তাঁর আত্মা নাকি সেখানে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু মর্গ্যান হাউসের ক্ষেত্রে তো তা সত্যি হতে পারে না। মিসেস মর্গ্যান এখানে থাকবেন কী করে? তাঁর তো স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল, তাও এই বাড়িতে নয়, হাসপাতালে।

    আসলে মর্গ্যান হাউসের পরিবেশটাই এমন। কালিম্পং শহরের ভিড়ভাট্টা থেকে অনেক দূরে। কালিম্পং ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মধ্যে একটা বিচ্ছিন্ন জায়গায়। কাছাকাছি কোনো বসতি নেই, দোকানপাট-বাজার, কিচ্ছু নেই। একেবারে নিরিবিলি নির্জন। আর নির্জনতারও যে একটা শব্দ আছে, তা এই মর্গ্যান হাউসে এলে বোঝা যায়। একনাগাড়ে কান পেতে থাকুন, মনে হবে অদ্ভুত একটা শব্দ কানে আসছে। সন্ধে হলেই পরিবেশটা কেমন গা ছমেছমে হয়ে যায়। ঠান্ডাটাও বাড়ে। মনে হয় একটা শিরশিরানি গা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে একটা ভৌতিক পরিবেশ কল্পনা করেই নেওয়া যায়।

    মর্গ্যান হাউস সরকার পর্যটক আবাসে রূপান্তরিত করার বহু বছর পরে এটি ভূতুড়ে বাড়ির তকমা পায়। এর জন্য বেশ কিছু ফিল্‌মের কিছু অবদান আছে। ‘পাতাললোক’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, ‘তারকার মৃত্যু’ প্রভৃতি সাসপেন্স ফিল্‌মের শুটিং হয়েছে এখানে। এর পরেই মর্গ্যান হাউস আরও পরিচিতি পায় এবং ভূতের বাড়ির তকমাও জুটে যায়।

    কীভাবে বুকিং করবেন

    সুতরাং চলুন কালিম্পং, থাকুন মর্গ্যান হাউসে। বুকিং করুন রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ওয়েবসাইট www.wbtdcl.com –এর মাধ্যমে।

    আরও পড়ুন

    বাঙালির প্রিয় বেড়ানোর জায়গা যেখানে গেলেই পাবেন তেনাদের দেখা

    পর্যটকদের নতুন গন্তব্য উত্তরপ্রদেশের রানিপুর টাইগার রিজার্ভ

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *