আর সিঁড়ি ভাঙা নয়, এবার রোপওয়েতে পৌঁছে যান বারসানার রাধারানি মন্দিরে

বৃন্দাবন (উত্তরপ্রদেশ): আর দুশো সিঁড়ি ভেঙে রাধারানিকে দর্শন করতে যেতে হবে না। চালু হচ্ছে রাধারানি রোপওয়ে। মাত্র ৩ মিনিটে নীচে থেকে পৌঁছে যাবেন মন্দিরে। রবিবার ২৫ আগস্ট থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে ওই রোপওয়ে। মন ভরে দর্শন করবেন সকলের প্রিয়, বিশেষ করে বাঙালির প্রিয় রাধারানিকে।

কৃষ্ণ-ধন্য বৃন্দাবন থেকে ৪৩ কিমি দূরে বারসানা, রাধারানির গ্রাম। মথুরা-বৃন্দাবন বেড়াতে গেলেই তীর্থযাত্রী আর পর্যটকদের মনে হয়, একবার বারসানা ঘুরে আসি। বারসানা না ঘুরলে তীর্থদর্শন বা ভ্রমণ, যা-ই বলুন না কেন, কেমন যেন অসম্পূর্ণ থাকে।

লাঠমার হোলির জন্য বিখ্যাত বারসানায় অন্যতম দ্রষ্টব্য হল রাধারানির মন্দির। কিন্তু এই মন্দির ৬০০ ফুট উঁচু এক পাহাড়ের উপর। শীর্ষে পৌঁছোতে হলে ২০০ সিঁড়ি ভাঙতে হয়, যা অনেকেরই পক্ষেই, বিশেষ করে বয়স্কদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই উত্তরপ্রদেশ সরকার এই পথে রোপওয়ে চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

রাধারানি মন্দির, বারসানা।

বারসানাতে লাঠমার হোলির পাশাপাশি জন্মাষ্টমী উৎসবও বেশ ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়। আগামী সোমবার ২৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী উৎসব। তার আগেই রবিবার উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ চালু করে দিচ্ছেন রাধারানি রোপওয়ে।

১৫.৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই রোপওয়ে দুটি টাওয়ারের উপর দাঁড়িয়ে। নীচের স্টেশন থেকে উপরের স্টেশনের দূরত্ব ৩০০ মিটার। এই পথে ১২টি গন্ডোলা চলবে। এক-একটি গন্ডোলায় ছ’ জন করে যাত্রী বসবেন। যাত্রীরা মাত্র ৩ মিনিটে পৌঁছে যাবেন রাধারানি মন্দিরের দ্বারে।

২০১৬ সালে সমাজবাদী পার্টি সরকারে থাকাকালীন বারসানায় রোপওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এত দিনে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হল।

তবে যাঁরা সিঁড়ি ভেঙে মন্দিরে যেতে চাইবেন তাঁদের জন্য একটি নতুন সিঁড়িপথও তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে ২৭৫টি ধাপ। বুঝতেই পারছেন, ২০০ ধাপের যে পুরোনো সিঁড়ি এখানে রয়েছে, তার চেয়ে আধুনিক এই সিঁড়িপথে ওঠা অনেক সহজ হবে।  

আরো পড়ুন   

ভিসা ছাড়াই চলুন শ্রীলঙ্কা, ছ’ মাসের জন্য এই সুযোগ মিলবে ১ অক্টোবর থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *