১৫ অক্টোবর ষষ্ঠী, দুর্গাপুজো শুরু। আর দিন পনেরো পরেই শুরু হয়ে যাবে পুজোর ছুটিতে ট্রেনের আসনের আগাম সংরক্ষণ। সুতরাং আর দেরি নেই। এখনই করে ফেলতে হবে পুজোর ভ্রমণ পরিকল্পনা। পর্যটন সম্পদে সমৃদ্ধ আমাদের দেশ। ঘোরার জন্য রয়েছে নামী-অনামী বহু জায়গা। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য খবর অনলাইন এ বারও সাজিয়ে দিচ্ছে এক গুচ্ছ ভ্রমণ পরিকল্পনা। শুরু করছে উত্তর-পূর্ব ভারত দিয়ে।
ভ্রমণ-ছক ১ : অসম
প্রথম দিন – গুয়াহাটির উদ্দেশে ট্রেন। গুয়াহাটি যাওয়ার সব থেকে ভালো ট্রেন সরাইঘাট এক্সপ্রেস। প্রতি দিন বিকেল ৩:৫০-এ হাওড়া থেকে ছেড়ে গুয়াহাটি পৌঁছোয় পরের দিন সকালে ৯:৫০-এ। কামরূপ এক্সপ্রেস প্রতি দিন বিকেল ৫:৩৫-এ হাওড়া থেকে ছেড়ে গুয়াহাটি পৌঁছোয় পরের দিন বিকেল ৩:৩৫-এ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস প্রতি দিন সকাল ৬:৩৫-এ শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে গুয়াহাটি পৌঁছোয় পরের দিন ভোর ৪টেয়। এ ছাড়াও আরও ট্রেন আছে।

দ্বিতীয় দিন ও তৃতীয় দিন – গুয়াহাটিতে ঘোরাঘুরি ও রাত্রিবাস। এখানে অবশ্য দ্রষ্টব্য —
(১) কামাখ্যা মন্দির — শহর থেকে ৯ কিমি দূরে নীলাচল পাহাড়ে কামাখ্যা মন্দির।
(২) ভুবনেশ্বরী মন্দির — কামাখ্যাদেবীকে পুজো দিয়ে চলুন নীলাচল পাহাড়ের মাথায় ভুবনেশ্বরী মন্দিরে। কামাখ্যা থেকে ১ কিমি। ভুবনেশ্বরী মন্দির চত্বর থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য ভোলার নয়।
(৩) নবগ্রহ মন্দির – শহরের প্রাণকেন্দ্রে, নবগ্রহ পাহাড়ের শিরে। এখানে কোনো মূর্তিপুজো হয় না। গ্রহের আকারে পাথরের স্থাপত্য। সেখানেই পুজোর ব্যবস্থা। পাহাড়ের উপর থেকে গুয়াহাটি শহর ও ব্রহ্মপুত্রের অসাধারণ ভিউ।
(৪) উমানন্দ মন্দির — ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে পিকক আইল্যান্ড। সেখানে উমানন্দ মন্দির। দেবী কামাখ্যার ভৈরব। এখানেই রয়েছে চন্দ্রশেখর মন্দির। কাছারি ঘাট বা ফ্যান্সিবাজার ফেরি ঘাট থেকে বোটে চেপে ব্রহ্মপুত্রের ওপর দিয়ে উমানন্দ যাওয়া এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
(৫) বশিষ্ঠ আশ্রম – শহর থেকে ১২ কিমি দূরে, পাহাড় থেকে নেমে আসা তিনটি ঝরনাধারায় সৃষ্টি হয়েছে বশিষ্ঠ গঙ্গা। কাছেই বশিষ্ঠ মন্দির, শিব মন্দির।
(৬) বালাজি মন্দির – তিরুপতি মন্দিরের আদলে গড়া, শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ১০ কিমি দূরে লোখরা এলাকায়।
(৭) চিড়িয়াখানা – মনোরম পাহাড়ি পরিবেশে বন্যজন্তুর সংগ্রহ পর্যটকদের আকর্ষণ করে। লাগোয়া বটানিক্যাল গার্ডেন।

চতুর্থ দিন – চলুন তীর্থস্থান হাজো। গুয়াহাটি থেকে দূরত্ব ৩৫ কিমি। হিন্দু, বৌদ্ধ এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে খুব পবিত্র তীর্থস্থান। দেখুন ‘মণিকূট’ পাহাড়ের মাথায় হয়গ্রীব মাধবমন্দির, মাধব দেউল, পোয়া মক্কা, ‘মদনাচল’ পাহাড়ের মাথায় কেদারেশ্বর মন্দির। হাজো ফেরার পথে ১৬ কিমি দূরে চলুন শুয়ালকুচি, মুগা শিল্পীদের গ্রাম। শুয়ালকুচি থেকে গুয়াহাটি ৩৫ কিমি। রাত্রিবাস গুয়াহাটি।

পঞ্চম দিন – চলুন কামরূপের খাজুরাহো, মদন কামদেব গুয়াহাটি থেকে ৪০ কিমি। ১০ থেকে ১২ শতকে পাল রাজাদের আমলে তৈরি ২৪টিরও বেশি মন্দিরের কমপ্লেক্স। রাত্রিবাস গুয়াহাটি।
ষষ্ঠ দিন – চলুন শৈলশহর হাফলং দিনের বেলার ট্রেনে, উপভোগ করুন লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনের অপার সৌন্দর্য। সপ্তাহে পাঁচ দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি ছাড়ে ভোর ৪.৩৫ মিনিটে, হাফলং পৌঁছোয় সকাল ১১.৫০ মিনিটে। সাপ্তাহিক তিরুঅনন্তপুরম-শিলচর এক্সপ্রেস। প্রতি বুধবার সকাল ৬টায় গুয়াহাটি ছেড়ে দুপুর ১.২০ মিনিটে নিউ হাফলং পৌঁছোয়। নয়াদিল্লি-শিলচর এক্সপ্রেস প্রতি শনিবার সকাল ৯:১০-এ গুয়াহাটি থেকে ছেড়ে, নিউ হাফলং পৌঁছোয় বিকেল ৩:৩৫-এ। রয়েছে নয়াদিল্লি-আগরতলা ত্রিপুরাসুন্দরী এক্সপ্রেস। ট্রেনটি বুধবার চলে। সময় একই। রাত্রিবাস হাফলং।
সপ্তম দিন – হাফলং ঘোরাঘুরি। রাত্রিবাস।
বরাইল পর্বতমালায় ৩০০০ ফুট উচ্চতায় শৈলশহর হাফলং। অসমের একমাত্র হিলস্টেশন। এখানে দেখবেন —
হাফলং লেক, গরম জলের প্রস্রবণ, ঝুলন্ত ব্রিজ, প্রাচীন সার্কিট হাউস, প্রাচীন কালীবাড়ি এবং হাফলং চার্চ। ঘুরে আসতে পারেন ৯ কিমি দূরের জাটিঙ্গা, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে কৃষ্ণপক্ষের রাতে পাখিদের আত্মহননের জন্য খ্যাত।

অষ্টম দিন – আসুন বাঙালির শহর শিলচরে। দূরত্ব ৯৬ কিমি। হাফলং থেকে একটা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসুন শিলচর। ঘোরাঘুরি, রাত্রিবাস শিলচর। হাফলং থেকে ট্রেনেও আসতে পারেন শিলং, তবে চার-পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে।
নবম দিন – সারা দিন শিলচর ঘোরাঘুরি। রাত্রিবাস শিলচর।
শিলচরে দেখবেন বরাক নদীর পাড় থেকে সূর্যোদয়, গান্ধী বাগে ভাষা আন্দোলনের শহিদ স্তম্ভ, কাছাড় ক্লাব, কাছাড়ি রাজবাড়ি, দোলু লেক, ইসকন মন্দির, ২০ কিমি দূরে খাসপুরে ডিমাসা রাজাদের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ, কাঁচাকান্তি কালীমন্দির (শহর থেকে ১৭ কিমি)।
দশম দিন – ঘরপানে রওনা। সোম, বুধ ও শুক্রবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সকাল সাড়ে ১০টায় শিলচর ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছোয় পরের দিন সন্ধে ৭.২৫ মিনিটে। তিরুঅনন্তপুরম আসার ট্রেন সপ্তাহে দু’ দিন, মঙ্গল ও বৃহস্পতি। ছাড়ে রাত ৭.৫৫ মিনিটে, হাওড়া পরের দিন রাত ১২.৪৫ মিনিটে পৌঁছোয়। তিরুঅনন্তপুরম পৌঁছোয় পরের পরের দিন রাত ১০.৪০ মিনিটে। এই ট্রেনটি ৩৯৩০ কিমি দৌড়োয়। শিলচর থেকে দিল্লি আসার সাপ্তাহিক ট্রেন ছাড়ে সোমবার। এ ছাড়া গুয়াহাটি এসে দেশের সব জায়গার ট্রেন ধরা যায়। বিমানেও ফিরতে পারেন।
কী ভাবে ঘুরবেন
একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে গুয়াহাটি শহরে ঘুরে নিন। গুয়াহাটি থেকে ট্রেনে আসুন হাফলং। হাফলং শহরে ঘোরাঘুরির জন্য অটো, জিপ বা অন্য গাড়ি মেলে। একটা গাড়ি ভাড়া করে শিলচর চলে আসুন। শিলচরে ঘুরুন স্থানীয় যানে।
কোথায় থাকবেন
গুয়াহাটি স্টেশনের কাছেই রয়েছে অসম পর্যটক উন্নয়ন নিগমের প্রশান্তি টুরিস্ট লজ। হাফলং-এ রয়েছে অসম পর্যটন উন্নয়ন নিগমের টুরিস্ট লজ। শিলচরে আছে প্রশান্তি টুরিস্ট লজ। কিন্তু অনলাইনে বুকিং-এর কোনো ব্যবস্থা নেই। বুকিংয়ের জন্য অসম পর্যটনে যোগাযোগ ০৩৬১-২৫৪৭১০২/২৫৪২৭৪৮/২৫৪৪৪৭৫। কলকাতা অফিসে যোগাযোগ ০৩৩-২২২৯৫০৯৪।
এ ছাড়া তিনটি শহরেই বিভিন্ন মানের বিভিন্ন দামের বেসরকারি হোটেল রয়েছে। খোঁজ পাবেন makemytrip, goibibo, trivago, cleartrip ইত্যাদি ওয়েবসাইট থেকে।

মনে রাখবেন
(১) ষষ্ঠ দিন দুপুরের মধ্যে হাফলং পৌঁছতে পারলে সপ্তম দিন দুপুরের খাওয়া সেরে শিলচর রওনা হন। সে ক্ষেত্রে বিকেলে শিলচরে পৌঁছে যাবেন। সপ্তম ও অষ্টম দিন শিলচরে কাটিয়ে নবম দিন ঘরে ফেরার ট্রেন ধরতে পারেন।
(২) যদি শিলচর থেকে বিমানে ফেরেন তা হলে নবম দিন বিকেলেই ঘরপানে রওনা হতে পারেন।
(৩) হাতে কয়েকটা দিন থাকলে শিলচর থেকে চলে যাওয়া যায় শিলং, ২১৫ কিমি। মেঘালয় পরিবহণের নানা ধরনের বাস এই রুটে চলে নিয়মিত। শিলং পৌঁছে ভ্রমণ ছক ২-এর মতো করে ঘোরা যায়। অথবা শুধু শিলং-চেরাপুঞ্জি ঘুরে গুয়াহাটি চলে আসা যায়।
(৪) গুয়াহাটিতে কামাখ্যা মন্দিরের খোলা-বন্ধের সময় আগাম জেনে নিলে বেড়ানোর প্ল্যান করতে সুবিধা হবে।
(৫) উমানন্দ মন্দির সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা।
(৬) হাতে কম সময় থাকলে একই দিনে হাজো ও মদন কামদেব ঘুরে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে শুয়ালকুচি বাদ দিতে পারেন। একটা গাড়ি ভাড়া করে প্রথমে ৩৫ কিমি দূরে হাজো চলুন। হাজো ঘুরে চলুন ৩৩ কিমি দূরে মদন কামদেব। সেখান থেকে গুয়াহাটি ফিরুন, ৪০ কিমি।
(৬) ট্রেনের সময়সূচির জন্য দেখে নিন erail.in ।

ভ্রমণ- ছক ২ : অসম-মেঘালয়
প্রথম থেকে তৃতীয় দিন – ভ্রমণ-ছক ১-এর মতো।
চতুর্থ দিন – একটা গাড়ি নিয়ে যাত্রা করুন শিলং-এর উদ্দেশে। দূরত্ব ৯৯ কিমি। গুয়াহাটি থেকে নিয়মিত বাসও আছে। পথে পড়বে উমিয়াম লেক তথা বড়াপানি। রাত্রিবাস শিলং।
পঞ্চম দিন — আজও থাকুন শিলং-এ। দেখে নিন —
(১) ওয়ার্ডস লেক ও বোটানিল্যাল গার্ডেন। (২) ক্যাথলিক ক্যাথিড্রাল। (৩) ১০ কিমি দূরে শিলং পিক (৬৪৪৫ ফুট)। (৪) শিলং পিক যাওয়ার পথেই এলিফ্যান্ট ফলস্। (৫) শিলং গলফ্ কোর্স। (৬) ৫ কিমি দূরে বিশপ ও বিডন ফলস। (৭) রিবং-এ রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি-বিজড়িত ‘মালঞ্চ’ বাড়ি। (৮) ওয়াংখার বাটারফ্লাই মিউজিয়াম ইত্যাদি।

ষষ্ঠ দিন – খাসি পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে শিলং থেকে চলুন চেরাপুঞ্জি। দূরত্ব ৫৪ কিমি। চেরাপুঞ্জিতে দেখুন রামকৃষ্ণ মিশন (চেরাপুঞ্জির একটু আগে), নোহকালিকাই ফলস্, ইকো পার্ক, সেভেন সিস্টার ফলস্, খাংখারাং পার্ক, নংগিথিয়াং ফলস্, মওসমাই কেভ, ধাপে ধাপে তিন ধাপে নামা কেইনরাম ফলস্ (সেলার পথে ১০ কিমি, মেঘালয়ের সর্বোচ্চ) এবং ডবল ডেকার রুট ব্রিজ। রাত্রিবাস চেরাপুঞ্জি।
সপ্তম দিন – চলুন মওলিননং। এশিয়ার সব থেকে পরিচ্ছন্ন গ্রাম। চেরাপুঞ্জি থেকে দূরত্ব ৮০ কিমি। গ্রামের মাঝে সুন্দর চার্চ, পাশ দিয়ে বয়ে গেছে থাইলাং নদী। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ থাইলাং-এর ওপর লিভিং রুট ব্রিজ। আরও দু’টি দ্রষ্টব্য ব্যালান্সিং রক এবং স্কাই ভিউ পয়েন্ট। রাত্রিবাস মওলিননং।

অষ্টম দিন – মওলিননং থেকে চলুন বাংলাদেশ সীমান্তে প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য ডাওকি। দুরত্ব ৩০ কিমি। ডাওকি দেখে ১০ কিমি দূরে সিনডাই গুহা দেখে নিতে পারেন। এ বার ফিরে চলুন শিলং হয়ে গুয়াহাটি। দূরত্ব ১৮০ কিমি। রাত্রিবাস গুয়াহাটি।
নবম দিন – বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরুন। প্রতিদিন দুপুর সাড়ে বারোটায় গুয়াহাটি থেকে ছেড়ে পরের দিন ভোর ৫:১০-এ হাওড়া পৌঁছোয় সরাইঘাট এক্সপ্রেস। কামরূপ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৭.৪৫-এ গুয়াহাটি থেকে ছেড়ে হাওড়া পৌঁছোয় পরের দিন ভোর ৫:৪৫-এ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস প্রতিদিন রাত ১০:৫৫-এ গুয়াহাটি থেকে ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছোয় পরের দিন সন্ধ্যা ৭:২৫-এ। দেশের অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার জন্যও ট্রেন পাবেন গুয়াহাটি থেকে। এ ছাড়া দেশের সব বড়ো শহরের সঙ্গে গুয়াহাটির বিমান যোগাযোগ তো আছেই।
কী ভাবে ঘুরবেন
(১) গুয়াহাটিতে একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে ঘুরে নেওয়াই সব থেকে ভালো। গুয়াহাটি থেকে শিলং বাসে আসতে পারেন। তার পর লোকাল ট্যাক্সিতে শিলং ঘুরে নিয়ে ওই গাড়ি নিয়েই চেরাপুঞ্জি-মাওলিননং ঘুরে এসে শিলং ছেড়ে দিন। শিলং থেকে বাসে ফিরুন গুয়াহাটি।
(২) শিলং-এ পুলিশবাজার ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গাড়ি ভাড়ার তালিকা দেওয়া আছে।

কোথায় থাকবেন
গুয়াহাটিতে থাকা নিয়ে ভ্রমণ-ছক ১ দেখুন।
শিলং শহর জুড়ে হোটেলের ছড়াছড়ি। মেঘালয় পর্যটনের হোটেল পাইনউড (০৩৬৪-২২২৩১১৬), হোটেল অর্কিড (০৩৬৪-২২২৪৯৩৩)। অনলাইনে বুক করতে পারেন mtdc.nic.in।
চেরাপুঞ্জিতে থাকার ভালো জায়গা চেরাপুঞ্জি হলিডে রিসর্ট (০৯৪৩৬১১৫৯২৫) আর মাওলিননং-এ থাকুন মাওলিনং গেস্টহাউজ (০৯৮৩০২০৩৯৭৩), ইলা জঙ্গ গেস্টহাউজ (০৯৬১৫০৪৩০২৭) বা স্কাই ভিউ গেস্টহাউজে (০৮৭৩১০৯৫৮০৭, ০৮৫৭৫৬১৫৮৭৭)।
আরও হোটেলের সন্ধান পাবেন makemytrip, goibibo, trivago, cleartrip ইত্যাদি ওয়েবসাইট থেকে।

মনে রাখবেন
(১) ডবল ডেকার রুট ব্রিজ যেতে হলে সিঁড়ি দিয়ে ২৫০০ ফুট নামতে হবে আবার উঠে আসতে হবে। মোটামুটি একটা দিনের ধাক্কা। সুতরাং ডবল ডেকার রুট ব্রিজ দেখতে হলে চেরাপুঞ্জিতে আরও একটা দিন থাকা বাঞ্ছনীয়। আর হাঁটুর জোর থাকলেই এ পথে যাবেন, নচেৎ নয়।
(২) শিলং-এ জেল রোডে অবস্থিত ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার (০৩৬৪-২২২৬২২০) মেঘালয় ঘোরার তথ্য পেতে পারেন।
(৩) ওয়াংখার বাটারফ্লাই মিউজিয়াম শনি ও রবিবার বন্ধ থাকে।
(৪) গুয়াহাটি ফিরে হাফলং-শিলচর চলা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভ্রমণসূচি আরও দিন তিনেক বাড়বে।
(৫) হাতে আরও সময় থাকলে গুয়াহাটিতে থেকে ভ্রমণ- ছক ১-এ বর্ণিত হাজো ও মদন কামদেব বেড়িয়ে নিতে পারেন।
(৬) ট্রেনের সময়সূচির জন্য দেখে নিন erail.in ।