স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি, পর্যটকের হরেক সম্ভার নিয়ে অপেক্ষা করছে অসমের ডিমা হাসাও

haflong

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: এক সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জর্জরিত ছিল অসমের ডিমা হাসাও জেলা। ওই এলাকায় প্রভাব ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ডিএনএলএ)-র। সম্প্রতি সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছে তারা। তাঁদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হয়েছে কেন্দ্রের। এ বার এর ফলে ওই এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নতি হবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা।

কাজিরাঙা এবং মানস জাতীয় উদ্যান অসমের পর্যটনচিত্রের একেবারে ওপরের দিকেই আছে। কিন্তু ডিমা হাসাও জেলার আকর্ষণ কম নয়। কারণ এই জেলাতেই যে রয়েছে অসমের অন্যতম হিল স্টেশন হাফলং। ইদানীং পর্যটকদের আগমন বাড়ছে হাফলংয়ে। এ ছাড়া, অসমের এই জেলার অন্যতম আকর্ষণ জাটিঙ্গা উৎসব। সেখানে প্রচুর পাখি এসে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে।

গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার উপস্থিতিতে শান্তি চুক্তিতে সই করে ডিএনএলএ। তার পরেই স্থানীয়দের আশা, এর ফলে এ বার থেকে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে ওই এলাকায়।

ডিমাসা ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রমিত সেনংইয়ুং টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “একটি এলাকায় পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য আগে দরকার একটি শান্তির পরিবেশ। গত কয়েক বছরে প্রচুর হিংসার ঘটনা ঘটেছে এই জেলায়। তবে এই শান্তিচুক্তির ফলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপিত হবে, এই ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এর প্রভাব অন্য ক্ষেত্রের মতোই পড়বে পর্যটনেও।”

স্থানীয়রা বলেন, নিরাপদ জায়গায় যেতেই পছন্দ করেন পর্যটকরা। এই চুক্তি ডিমা হাসাওকে নিরাপদ স্থান হিসাবে গড়ে তুলবে। যদিও তাঁদের দাবি, এখনও পর্যটনের পরিকাঠামো সে ভাবে উন্নত নয় এই জেলায়। ভালো মানের হোটেল-রিসর্ট গড়ার পাশাপাশি রাস্তারও উন্নতি হওয়া দরকার বলে জানান তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *