পাকিস্তানকে ছুঁয়ে দেখুন কর্তারপুর সাহেবে, যেতে চাইলে কী কী করনীয়?

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ভ্রমণের হরেক সম্ভার রয়েছে পাকিস্তানেও। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে যে ভারতীয়রা কল্পনাই করতে পারেন না যে পাকিস্তান ভ্রমণ করতে যাবেন। অথচ পাকিস্তানে কী নেই? মরুতীর্থ হিংলাজ, সিন্ধু সভ্যতার দুই বড়ো নিদর্শন হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো, সোয়াট উপত্যকা – যাকে অবলীলায় দ্বিতীয় লাদাখ বলা যেতে পারে।

দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনে পাকিস্তান যাওয়া অত সহজ নয়। কিন্তু এক দিনে ঝটিকা সফরে পাকিস্তানকে ছুঁয়ে দেখতে চাইলে কর্তারপুর সাহেবের কোনো বিকল্প নেই।

ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার ভেতরে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত কর্তারপুর সাহেব গুরুদ্বার। এই গুরুদ্বারের পুরো নাম গুরুদ্বার দরবার সাহেব, কর্তারপুর। এই গুরুদ্বারেই জীবনের শেষ বছরগুলি কাটিয়েছিলেন গুরু নানক।

ভারতের ডেরা বাবা নানক থেকেই কর্তারপুর সাহেব গুরুদ্বারের চূড়া দেখা যায়। যে কোনো ধর্মের ভারতীয়ই যেতে পারেন। আর এখানে যাওয়া তুলনামূলক সোজাও। শুধু এই ব্যাপারগুলি মাথায় রাখতে হবে

১) যাঁরা কর্তারপুর যেতে চান, তাঁদের নিজেদের নাম আগাম নথিভুক্ত করতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে (prakashpurb550.mha.gov.in/kpr/basicDetailsa)। কবে যেতে চান, সেই তারিখটা আগাম জানাতে হবে।

২) মাথায় রাখতে হবে যে নাম নথিভুক্ত হয়ে যাওয়া মানেই কর্তারপুর যাওয়ার অনুমতি পাওয়া নয়।

৩) যাঁদের কর্তারপুর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে, তাঁদের ই-মেলে সেই অনুমতিপত্র চলে যাবে। ডেরা বাবা নানকের ইমিগ্রেশন অফিসে এই অনুমতিপত্রটি নিয়ে আসতে হবে।

৪) কর্তারপুর যাঁরা যাবেন, সারা দিন সেখানেই থাকতে পারেন। সকালের বাসে গিয়ে দিনের শেষ বাসে, (বিকেল ৪টে) ফিরতে পারেন। তবে এর বেশিক্ষণ থাকা যাবে না।

৫) শুধুমাত্র কর্তারপুর গুরুদ্বার এবং তার আশেপাশেই থাকতে হবে পর্যটকদের। এর বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে এখানে পাকিস্তানি জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারেন।

৬) ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছে সেখানে ইমিগ্রেশন চেকিং হবে। সেখানে ভারতীয় মুদ্রা পাকিস্তানি মুদ্রায় বদলে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে যত পাকিস্তানি টাকা আপনার কাছে থাকছে, পুরোটাই কর্তারপুরে কাজে লাগাতে হবে, অথবা ফেরার পথে বাকি টাকাটার বিনিময়ে ভারতীয় মুদা নিয়ে নিতে হবে। কারণ পাকিস্তানি মুদ্রা নিয়ে ভারতে ফিরে আসা যাবে না। তেমনটা হলে তৎক্ষণাৎ আপনি গ্রেফতারও হয়ে যেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *