ওয়েবডেস্ক: বাঙালি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের একটি রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। আসন্ন পুজোর ছুটিতেও বাঙালিদের একটা বড়ো অংশ যে মধ্যপ্রদেশমুখী হবেন তা এখনই বলে দেওয়া যায়। কিন্তু এরই মধ্যে অনেকেই হয়তো রয়েছেন যাঁরা চেনা গন্তব্যের আড়ালে, নতুন কিছু গন্তব্যের সন্ধান করেন। সেই সব পর্যটকের জন্যই বিশেষ ব্যবস্থা করেছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম।
জঙ্গল, তীর্থস্থান এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যের জন্যই এত খ্যাতি মধ্যপ্রদেশের। সেই মধ্যেপ্রদেশে ‘জল পর্যটন’কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক নয়, রাজ্যের বড়ো বড়ো শহরের কিছুটা দূরেই কৃত্রিম জলাধার তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এর মূল কারণ হচ্ছে জলকষ্ট কমানো।
এমনিতে মধ্যপ্রদেশে তুলনায় বৃষ্টিপাত কিছুটা কমই হয়। তাই জলের আকাল একটা বড়ো সমস্যা। সেই সমস্যা দূর করার জন্যই এই জলাধারগুলি তৈরি। আর এই জলাধারগুলিকে কেন্দ্র করেই পর্যটন ব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর।
ভোপাল, জবলপুর, পাঁচমাঢ়ির মতো শহরের থেকে কিছুটা বাইরে আপাত নির্জন জায়গায় যাঁরা রাত কাটাতে চান তাঁদের জন্য এই জায়গাগুলি আদর্শ বলে জানান মধ্যপ্রদেশ রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের সিনিয়র টুরিস্ট অফিসার তথা কলকাতার আঞ্চলিক অফিসের রেসিডেন্ট ম্যানেজার অভিজিৎ ধর। তাঁর কথায়, “শহরের ভিড়ের মধ্যে যাঁরা থাকতে চান না, অথচ শহরের গন্তব্যগুলি দর্শন করতে চান তাঁরা এই জায়গাগুলিতে যেতেই পারেন।” সব ক’টি জায়গাতেই রয়েছে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের হোটেল এবং রিসোর্ট, তাই রাত কাটানোর কোনো সমস্যা নেই বলে জানান অভিজিৎবাবু।
এই জায়গাগুলি দেখে নিন
![](https://khaboronline.com/wp-content/uploads/2017/06/maikal.jpg)
বরগি– জবলপুরের বাইরে নির্জনে কয়েকটা দিন কাটাতে চাইলে এখানে থাকতে পারেন। শহর থেকে দূরত্ব ৩৫ কিমি। বরগি জলাধারের ধারেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের মাইকল রিসোর্ট।
![](https://khaboronline.com/wp-content/uploads/2017/06/dumna.jpg)
দুমনা নেচার পার্ক – জল, জঙ্গল, পাহাড়, বন্যপ্রাণী দেখতে হলে দুমনা হতে পারে আপনার আদর্শ জায়গা। জবলপুর থেকে দূরত্ব মাত্র ৫ কিমি। এখানে রয়েছে খান্ডারি জলাধার। রাত কাটানোর জন্য এখানে রয়েছে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের কালচুরি রিসোর্ট।
![](https://khaboronline.com/wp-content/uploads/2017/06/kerwa.jpg)
কেরওয়া – জলাধার ঘিরে আরও একটি পর্যটনস্থল এই কেরওয়া। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ১৬ কিমি। কেরওয়া জলাধারের ধারেই রয়েছে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের কেরওয়া রিসোর্ট।
![](https://khaboronline.com/wp-content/uploads/2017/06/halali.jpg)
হালালি– ভোপাল থেকে ৪১ কিমি দূরে, হালালি জলাধারের ধারে তৈরি হয়েছে হালালি রিট্রিট। ভোপালের বদলে এখানেও থেকে ঘুরে নিতে পারেন শহরের দ্রষ্টব্য স্থানগুলি।
![](https://khaboronline.com/wp-content/uploads/2017/06/tawa.jpg)
তাওয়া– প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে পাঁচমাঢ়ির বিকল্প তাওয়া নয়। কিন্তু পাঁচমাঢ়ি ভ্রমণে গেলে অন্তত একটি রাত থাকতেই পারেন এখানকার তাওয়া রিসোর্টে। পাঁচমাঢ়ি থেকে ১১৩ কিমি। নিকটবর্তী রেল স্টেশন ইতারসি। দূরত্ব ৩২ কিমি। এখান থেকেই সাফারি করে নিতে পারেন সাতপুরা জাতীয় উদ্যানে। কানহা-বান্ধবগড়-পেঞ্চের কাছে কিছুটা ব্রাত্যই এই সাতপুরা।
হনুমন্তিয়া– খান্ডোয়া থেকে ৪৯ কিমি দূরে ইন্দিরাসাগর জলাধারের ধারে মধ্যপ্রদেশ পর্যটনের হনুমন্তিয়া টুরিস্ট কমপ্লেক্স। এখানেই ১৫ অক্টোবর থেকে আয়োজিত হবে জলমহোৎসব।
সব রিসোর্টই অনলাইনে বুক করতে পারেন। বুক করার জন্য লগইন করুন https://booking.mpstdc.com। রাজ্যের এই নতুন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও পর্যটকদের পা যে পড়বেই, সে ব্যাপারে আশাবাদী অভিজিৎবাবু।