পাখি দেখতে চলুন সিকিম, ডাকছে আপনাকে কিতাম

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: পরতে পরতে পাহাড়ের হাতছানি। রাস্তার ধারে নানা রকমের ফুল। সেই সঙ্গে পথে যেতে যেতে অসংখ্য পাহাড়ি ঝরনা। নানা জায়গায় গুম্ফা, বৌদ্ধ মঠ। সেই সঙ্গে সুবিশাল কাঞ্চনজঙ্ঘা। এরই আকর্ষণে বারে বারে সিকিমে আসেন পর্যটকরা।

এর বাইরেও ইদানীং একটি জিনিস আকর্ষণ করছে পর্যটকদের। তা হল কিতাম। নামচি থেকে কিছুটা দূরে কিতাম পক্ষী অভয়ারণ্য। দক্ষিণ সিকিমের এই অঞ্চল পক্ষীপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য। এখানে দেখা যায় ২০০-র বেশি প্রজাতির পাখি। দেখা মেলে নানা রকমের প্রজাপতি। এর আকর্ষণেও আসেন অনেক পর্যটক।

এ বার এই কিতাম পক্ষী অভয়ারণ্যকে পর্যটকদের সামনে আরও বেশি করে তুলে ধরতে চাইছে সিকিম সরকার। সেখানে যাতে আরও বেশি করে পর্যটক এবং পক্ষীপ্রেমী আসেন সেই কারণে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনের বিশেষ উৎসব। এই লক্ষ্য নিয়ে বন দফতরের নামচি ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশন, পরিবেশ এবং পর্যটন দফতরের যৌথ উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

এই উৎসবে সাহায্য করে কিতাম মনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কিতাম পর্যটন উন্নয়ন সমবায় সমিতি। এ বাবে তাদের উৎসবের থিম, কিতামকে আবিষ্কার করুন, এটা পক্ষীপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য (‘Discover Kitam – A Birders Paradise’)। এই উৎসব করতে সহযোগিতা করেছে জাপানের একটি সংস্থাও।

নামছি এবং মেলির মধ্যে অবস্থিত এই জায়গা। প্রায় ৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পাইন এবং অন্যান্য গাছের সারির মধ্যে এই অভয়ারণ্য। গ্রে ক্রাউন্ড পিনিয়া, ইয়েলো ভেন্টেড ওয়ার্ব্লার, রুফোস নেক্‌ড হর্নবিল, চেস্টনাট ব্রেস্টেড পার্ট্রিজ-সহ বিভিন্ন পাখি দেখা যায় সেখানে।

এক দিকে রঙ্গিত নদী অন্য দিকে মনপুর নদ। সেখান থেকে পুরো এলাকার এক প্যানারোমিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এখানে আসার আদর্শ সময় অক্টোবর থেকে মে মাস। আর শীতের সময়ে নানা পরিযায়ী পাখিও আসে সেখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *