শীতে চলুন মানিকপাড়া, ঘুরে নিন পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য এমন পর্যটনকেন্দ্র যা একাধারে যেমন ঐতিহাসিক, তেমনই ঐতিহ্যশালীও। অথচ সে ভাবে এগুলো তথাকথিত পর্যটনসার্কিটে পড়ে না। সে কারণে এখনও অনেকের কাছেই অপরিচিত এই সব জায়গা।

অথচ একটা তিন রাত-চার দিনের সফরে এই সব জায়গাই খুব ভালো ভাবে কভার করা যেতে পারে। আপনাকে সেই জন্য থাকতে হবে ‘বনের পাখি ফার্মস্টে’তে। ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ২৫ কিলোমিটার (নিকটবর্তী স্টেশন সরডিহা) দূরে মানিকপাড়ায় অবস্থিত এই ‘বনের পাখি।’ শহুরে কোলাহলের বাইরে বেরিয়ে দু’দণ্ড বিশ্রাম নিতে চাইলে এমন জায়গার জুড়ি মেলা ভার।

সুন্দর সৃজনশীলতায় সাজানো এই ফার্মস্টে। চত্বরের মধ্যেই চলছে সবজির ফলন। সেই সবজিই রান্নার পর আপনার পাতে চলে আসবে। লাল মাটির গন্ধ এবং পাখির কলতান এই ফার্মস্টের উপরি পাওনা।

‘বনের পাখি’তে রাত্রিবাস করে আপনি কী কী করতে পারেন?

অন্তত তিনটে রাত এখানে থাকতেই হবে আপনাকে। প্রথম দিন সকালে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নেমে সেখানকার সব দর্শনীয় স্থান (রাজবাড়ি, কনকদুর্গা, চিল্কিগড়ের বাইরেও আরও কিছু জায়গা আছে। তবে সব জায়গা সবার জন্য নয়) দেখে চলে আসুন ‘বনের পাখি’তে।

দ্বিতীয় দিন আপনি ঘুরে নিতে পারেন মন্দিরময় পাথরা, নাড়াজোল রাজবাড়ি (রাজবাড়ি ছাড়াও এই এলাকায় রয়েছে হাওয়া মহল, রাসমঞ্চ শিবালয়, জলহরি) এবং বীরসিংহে বিদ্যাসাগরের জন্মভিটা। ফার্মস্টেতে ফেরার পথে আপনি মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন গোপগড় এবং কর্ণগড় দেখে নিন।

তৃতীয় দিনে আপনার ভ্রমণে থাকুক:

১) কুরুমবেড়া দুর্গ

২) মোগলমারি বৌদ্ধবিহার

৩) রামেশ্বর মন্দির

৪) তপোবন

৫) গোপীবল্লভপুরের রাধাগোবিন্দ মন্দির

৬) ঝিল্লি পাখিরালয়

৭) হাতিবাড়ি

চতুর্থ দিন ফিরে চলুন কলকাতা।

তবে হাতে যদি আরও কয়েকটা দিন থাকে তা হলে এই ‘বনের পাখি’তেই রাত্রিবাস করে একদিন বেলপাহাড়ি-কাঁকরাঝোড়ের দিক, একদিন ঘাটশিলার দিক এবং একদিন গনগনিও ঘুরে নিতে পারেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ জায়গায় অবস্থান করছে এই রিসর্টটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *