ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বর্ষার প্রকোপ কমতে থাকে দেশ জুড়ে। তখনই দেশের বিভিন্ন অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পুজোর ছুটিতে তাই অনেকেই পরিকল্পনা করে রাখেন এই সব জাতীয় উদ্যানে জঙ্গল সাফারির।
জঙ্গল সাফারি মূলত দিনের আলোতেই হয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কখনও জঙ্গল ঘুরে দেখার কথা ভেবেছেন? গভীর জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর ভয় থাকে ঠিকই। কিন্তু রাতে জঙ্গল সাফারি হয় আরও রোমাঞ্চকর। যাঁরা বন্যপ্রাণ ভালোবাসেন, জীবজন্তুর কর্মকাণ্ড লেন্সবন্দি করতে চান, তাঁরা রাতে ঘুরে দেখতে পারেন ভারতের এই ৪ জাতীয় উদ্যান।
কানহা জাতীয় উদ্যান, মধ্যপ্রদেশ
কানহা জাতীয় উদ্যান মধ্যপ্রদেশের সাতপুরা অঞ্চলে ৯৪০ স্কোয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। দিনের আলোয় কানহায় জঙ্গল সাফারি খুবই জনপ্রিয়। রাতের অন্ধকারে এই জাতীয় উদ্যানে সাফারির সুবিধা রয়েছে। মুক্কি বাফার জোনে এই নাইট সাফারি করা হয়। সন্ধ্যা ৭.৩০টা থেকে রাত ৯.৩০ পর্যন্ত। অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকে জুন মাস পর্যন্ত কানহাতে নাইট সাফারি করতে পারবেন।
পেঞ্চ জাতীয় উদ্যান, মধ্যপ্রদেশ
দিনের আলোয় পেঞ্চ জাতীয় উদ্যানে ঘুরে দেখতে পারেন উদ্ভিদজগত। আর প্রাণীজগত দেখতে হলে সন্ধ্যা ৭.৩০ থেকে রাত ১০ পর্যন্ত নাইট সাফারি করুন। টিকাদি বাফার জোনে নাইট সাফারি হয়, যেখানে আপনি বন্য শুয়োর, শিয়াল থেকে শুরু করে বাঘ, হায়না, বন্য কুকুর দেখতে পারেন। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখতে পারেন কাঠের পেঁচা, যা প্রায় বিলুপ্তির পথে।
বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান, মধ্যপ্রদেশ
বান্ধবগড় ৩৭টি প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৫০ প্রজাতির পাখি এবং ৮০ রকমের প্রজাপতি ও সরীসৃপের বাসস্থান। এ ছাড়া বাঘ দেখতে হলে একবার বান্ধবগড়ে জঙ্গল সাফারি করা দরকার। একই ভাবে, এই জঙ্গলের নাইট সাফারিও খুবই জনপ্রিয়। স্লথ বিয়ার, চিতাবাঘ, বেঙ্গল টাইগার, এশিয়াটিক শিয়ালের মতো বন্যজন্তু দেখতে পাবেন রাতের অন্ধকারে। অক্টোবর থেকে বান্ধবগড়ে নাইট সাফারি শুরু হয়ে যায়।
তাডোবা-আন্ধারি জাতীয় উদ্যান, মহারাষ্ট্র
তাডোবা জাতীয় উদ্যানে ১৯০ প্রজাতির পাখি, ৭০ প্রজাতির প্রজাপতি ও সরীসৃপের বাস। তবে, এখানে জঙ্গল সাফারিতে গেলে আপনি বাঘ, স্লথ বিয়ারও দেখতে পাবেন। সন্ধে ৭টা থেকে নাইট সাফারি শুরু হয়। শেষ হয় রাত ১০টায়। বান্ধবগড়ের মতোই তাডোবাতে অক্টোবর থেকে নাইট সাফারি শুরু হলেও, এপ্রিল-মে মাসে সেরা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারেন।