ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: যাঁরা বন্যপ্রাণী ও অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাঁদের জন্য সুখবর! মধ্যপ্রদেশে তিনটি বিখ্যাত জাতীয় উদ্যানে নৈশ সাফারির ব্যবস্থা করছে মধ্যপ্রদেশ পর্যটন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে অর্থনীতির সব ক’টি ক্ষেত্রই খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তার মধ্যে সম্ভবত সব চেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে পর্যটনশিল্প। এই ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়েছে বিশ্ব জুড়েই। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ করতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটন দফতর নানা রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ঠিক সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ হিসাবে মধ্যপ্রদেশ পর্যটন বান্ধবগড়, কানহা এবং পেঞ্চ জাতীয় উদ্যানে নৈশ সাফারি শুরু করতে চলেছে। এই তিনটি জাতীয় উদ্যানই খুবই জনপ্রিয়। প্রায় সারা বছর বন্যপ্রাণ-কৌতূহলীদের ভিড় লেগেই থাকে।
বেশির জঙ্গলেই সাফারি হয় দিনের বেলায়। দিনের আলোয় বন্যপ্রাণীদের তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় স্পট করতে পারেন দর্শনার্থীরা। নৈশ সাফারি চালু হলে বন্যপ্রাণীদের রাতের ক্রিয়াকলাপ দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা।
মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে বাঘ, চিতল হরিণ, ময়ূর ইত্যাদি পশু ও পাখি প্রচুর দেখা যায় এবং নৈশ সাফারিতে এদের দেখার সুযোগ অনেক বেশি থাকে। কিন্তু নৈশ সাফারিতে প্রাণীকুলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আবার ভ্রমণার্থীদেরও বিপদ ঘটার আশঙ্কা থেকে যায়। মধ্যপ্রদেশ পর্যটন এই দু’টি বিষয় মাথায় রেখে এমন ভাবে সাফারি রুটের পরিকল্পনা করেছে যাতে কোনো প্রাণী বা মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়।
জানা গিয়েছে, বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানে নৈশ সাফারি হচ্ছে সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। কানহায় সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা এবনহ পেঞ্চে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নৈশ সাফারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।