ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: বিশ্বভারতীর পর এ বার কর্নাটকের হোয়সল স্থাপত্যের তিন মন্দিরও বিশ্ব হেরিটেজের তালিকায় জায়গা করে নিল। বেলুরের চেন্নাকেশব, হালেবিডুর যমজ হোয়সালেশ্বর এবং সান্তালেশ্বর মন্দির ও সোমনাথপুরের কেশব মন্দির এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
এর ফলে ইউনেস্কোর বিশ্ব হেরিটেজের তালিকায় স্থান পাওয়া ভারতের জায়গাগুলির সংখ্যা হয়ে দাঁড়াল ৪২। কয়েক দিন আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন বিশ্ব হেরিটেজের তকমা পেয়েছিল। এই ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই কর্নাটকের মন্দিরগুলিকে সেই তালিকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
একাদশ শতকে দক্ষিণ ভারতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া হোয়সল সাম্রাজ্য বিখ্যাত তার মন্দিরস্থাপত্যের জন্য। কর্নাটকের হাসন জেলায় অবস্থিত বেলুর, হালেবিদু আর বেলাওয়াড়ি এবং মহিশূরের কাছে অবস্থিত সোমনাথপুরের মন্দিরগুলি হোয়সল স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। মন্দিরগুলো দর্শন করলে মনে হবে এখানে পাথর যেন কথা বলছে। চারটে মন্দিরই প্রাণের মতো প্রস্ফুটিত। ঠিক সেই কারণেই সব ক’টা মন্দিরই নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল একশো বছরেরও বেশি।
হোয়সল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয় ১০০৬ সালে। এই রাজবংশের প্রথম রাজধানী ছিল দ্বারসমুদ্র, যা এখনকার হালেবিডু। এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা বিষ্ণুবর্ধন। তিনি তাঁর রাজধানী হালেবিডু থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরের বেলুরে (বেলুড় নয়) সরিয়ে আনার পর এখানে প্রথম মন্দিরটি তৈরি করার নির্দেশ দেন।
১১১৬ সালে বেলুরের চেন্নাকেশব মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১২১৯ সালে শেষ হয় কাজ। অর্থাৎ ১০৩ বছর লেগেছিল এই মন্দির তৈরি করতে। তিন প্রজন্ম লেগেছিল এই মন্দির নির্মাণে। তবে পর্যটন সার্কিটে বেলুর, হালেবিডু এবং সোমনাথপুর যতটা পরিচিত, তার সিকিভাগ পরিচিতিও জোটেনি বেলাওয়াড়ির ভাগ্যে। নইলে এই মন্দিরটাও বিশ্ব হেরিটেজের তলিকায় প্রবেশ করে যেত।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই বিশ্ব হেরিটেজের তকমা জুটেছে বিশ্বভারতীর। তবে বিশ্বভারতী ছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি দ্রষ্টব্য ইতিমধ্যে পেয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব হেরিটেজের তালিকায়। এর মধ্যে যেমন আছে দার্জিলিং টয়ট্রেন, তেমনি আছে সুন্দরবনও। দুর্গাপুজোকেও স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।