ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: আমলাশোল। এই নামটার সাথে কম বেশি সবার পরিচয় হয়েছিল আজ থেকে বছর ১৮ আগে, সংবাদপত্রের মাধ্যমে। অনাহারী মানুষের দুর্দশার এক ভয়ংকর ছবি শিউরে দিয়েছিল আমাদের। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় জঙ্গলমহলে অবস্থিত সেই প্রত্যন্ত গ্রাম আমলাশোল কিন্তু এখন যুক্ত হয়েছে পর্যটন-মানচিত্রে।
পাহাড়ে ঘেরা সুন্দরী গ্রাম, আদিবাসী মানুষদের সরল জীবনযাপন আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বর্ষা আর বসন্তের রূপ এখানে অনন্য। বর্ষার চার মাস চারিদিক সবুজে ঘিরে থাকে, যা চোখের আরাম। আর বসন্তে এখানে মেতে উঠতে পারেন মহুয়ায়।
জঙ্গলমহলের মধ্যমণি কাঁকড়াঝোরের লাগোয়া গ্রাম আমলাশোল। শহুরে কোলাহলের বাইরে কয়েকটা দিন নির্জনতার মধ্যে কাটাতে এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিতে আপনার কিন্তু দারুণ লাগবে।
কী ভাবে যাবেন
মজার ব্যাপার হল আমলাশোল বাংলায় হলেও আপনাকে যেতে হবে ঝাড়খণ্ড দিয়ে। ট্রেনে পৌঁছোন ঘাটশিলা। সেখান থেকে ৪৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত আমলাশোল। গাড়িতে চলে আসুন।
কী কী দেখবেন
আমলাশোল এমন একটা জায়গা যেখানে অনায়াসে তিন রাত কাটিয়ে দেওয়া যায়। একদিন ঘুরে নিন ঘাটশিলার দ্রষ্টব্য স্থানগুলি। একদিন চলে যেতে পারেন জামশেদপুর, দলমা পাহাড়, চান্ডিল জলাধার। আর একদিন ঘুরে নিতে পারেন কাঁকড়াঝোর আর বেলপাহাড়ির আশেপাশে অবস্থিত জায়গাগুলি যেমন ঢাঙিকুসুম, খান্ডারানি হ্রদ, ঘাগড়া জলপ্রপাত, লালজল গুহা-সহ বাকি জায়গাগুলি।
রাত্রিবাসের জায়গাটি
এই গ্রামে তৈরি হয়েছে কাঁকড়াঝোর ঝিনুক ক্যাম্প। নামে ‘কাঁকড়াঝোর’ থাকলেও এই রিসর্টটি অবস্থিত কাঁকড়াঝোরের পাশের গ্রাম আমলাশোলে। ক্যাম্পের চৌহদ্দিতে বসে থাকলে সারা দিন ওই পাহাড়-জঙ্গল থেকে ভেসে আসা চেনা- অচেনা অজস্র পাখির ডাক শোনা যায়। চাইলে পাহাড়েও চড়া যায়। রয়েছে কটেজ এবং টেন্ট। তবে কোথাওই কিন্তু এসি বা টিভি নেই।
পুজোর দিনগুলোতে এখনও জায়গা রয়েছে এই রিসর্টে। তাই যেতে চাইলে এখনই বুকিং করে নিন।
বুকিংয়ের নম্বর: 9903763296, 8276008189