পর্যটকদের মন বুঝতে ২৩টি জেলায় সমীক্ষা চালাবে পর্যটন দফতর

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: পর্যটন শিল্পে আরও কী ভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, আঞ্চলিক পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে আরও বেশি সংখ্যায় কী ভাবে পর্যটকদের আকর্ষিত করা যায়, সেই সব বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল পর্যটন দফতর। এ বার রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের মন ঘোরাতে নতুন এই সমীক্ষার সূচনা করতে চলেছে দফতর।

বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থাকে দিয়ে দু’টি ধাপে সমীক্ষা চালাবে পর্যটন দফতর। প্রথম পর্যায়ে সমীক্ষা চালানো হবে এক মাস ধরে। ২৩টি জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে এই সমীক্ষা হবে। প্রথম দফার সমীক্ষায় এমন বেশ কিছু বিষয় রাখা হয়েছে, যেগুলি সাধারণ মানুষের বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রয়োজন।

সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হচ্ছে, সপ্তাহন্তে কোন পর্যটনকেন্দ্রে কোন ধরনের পর্যটক আসছেন, সাধারণ কাজের দিনে কোন ধরনের পর্যটক কোথায় যাচ্ছেন। যে পর্যটকরা আসছেন, তাঁরা কোথায় থাকছেন, কী খাচ্ছেন, তা-ও সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় কোথায় বেড়াতে যাচ্ছেন, সমীক্ষায় রাখা হয়েছে সেই প্রশ্নও।

প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষার কাজ শেষ হলে, দ্বিতীয় পর্যায়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে সমীক্ষার তালিকায় রাখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৭৫টি পর্যটনকেন্দ্রকে। এই সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হবে, কোন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকরা কী ধরনের অসুবিধায় পড়লেন? সেই সমস্যার সমাধান করতে পর্যটন দফতর কী ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে, সে কথাও সমীক্ষকেরা পর্যটকদের কাছে জানতে চাইবেন।

দুই ধাপে এই সমীক্ষা শেষ হলে পর্যটন দফতর পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক। পর্যটন দফতরের এক কর্তার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আঞ্চলিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে দুই মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানকে। কলকাতার ১২টি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩০টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩৩টি ও পূর্ব বর্ধমানের ৪৩টি পর্যটনকেন্দ্রকে এই সমীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *