ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র খ্যাত ঐতিহাসিক কপালকুণ্ডলা মন্দিরকে ঘিরে পর্যটন সার্কিট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পাশাপাশি জাতীয় সড়ক থেকে দরিয়াপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তাও দ্রুত সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্দির থেকে সামান্য দূরে যে দরিয়াপুর লাইট হাউস ও পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর রয়েছে তা জুড়ে নবনির্মিত মেরিন ড্রাইভকে মিলিয়ে চালু হবে পর্যটন সার্কিট। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে কপালকুণ্ডলা মন্দির ও রাস্তা সংস্কার নিয়ে রাজ্যের এমনই সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি।
সরেজমিনে পরিস্থিতি ও মন্দিরের পরিকাঠামো পরিদর্শন করে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে। কমিশনের সচিব জানিয়েছেন, “কাঁথির দরিয়াপুরের কপালকুণ্ডলা মন্দিরের কাঠামো বেহাল হয়ে পড়ায় দ্রুত মেরামত প্রয়োজন। পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য মন্দিরে যাওয়ার রাস্তাটিও খুবই খারাপ, সংস্কার করা দরকার। কপালকুণ্ডলা মন্দিরের পাশাপাশি কাছের লাইটহাউস ও মৎস্যবন্দর নিয়ে একটি পর্যটনক্ষেত্র চালু করা যেতে পারে।” কপালকুণ্ডলা মন্দির ঘিরে এ দিন থেকে তৎপর হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাপরিষদ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতিও।
ইতিমধ্যে দিঘা থেকে মন্দারমণি ছুঁয়ে কাঁথির সৌলা হয়ে জুনপুট পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ চালু হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে দিঘা ও সংলগ্ন সমুদ্র উপকুল। বাকি ১৬ কিমি মেরিন ড্রাইভও চালু হয়ে গেলে দিঘা বা মন্দারমণিতে আসা পর্যটকরা সমুদ্র উপকুল ধরেই গাড়ি নিয়ে চলে আসতে পারবেন কপালকুণ্ডলা মন্দিরে।