চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল ও বাঁশবেড়িয়াকে নিয়ে পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা পুরসভার

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ব্যান্ডেল চার্চ, বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির এবং চুঁচুড়ার বন্দে মাতরম ভবনকে কেন্দ্র করে একটি পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলার জন্য পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে প্রস্তাব দিল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি পর্যটকদের থাকার জন্য গঙ্গার পাড়ে লজ নির্মাণ করতে চায়, প্রয়োজনীয় জমি দিতেও তাঁরা প্রস্তুত বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

সম্প্রতি একটি সরকারি অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী চুঁচুড়ায় এসেছিলেন। তখনই এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে পুরপ্রধানের একদফা আলোচনা হয়। পর্যটনমন্ত্রী পর্যটকদের থাকার জায়গা তৈরির কাজে তাঁদের প্রকল্প রচনার কথা বলেছেন বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। সেই কাজে তাঁরা দ্রুত হাত দেবেন বলেও পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, ‘‘ব্যান্ডেল চার্চের গঙ্গা লাগোয়া এলাকা, প্রতাপপুর-সহ কয়েকটি জায়গায় গঙ্গার পাড়ে পুরসভার জায়গা রয়েছে। পর্যটন দফতর যেখানে চূড়ান্ত করবে, সেখানেই জায়গা দিতে পুরসভা প্রস্তুত। আমরা চুঁচুড়াকে কেন্দ্র করে পর্যটন সার্কিট গড়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে একদফা কথা বলেছি। তিনি আগ্রহী। গঙ্গার পাড়ে ট্যুরিস্ট লজ গড়তে প্রকল্প তৈরি করে তিনি জমা দিতে বলেছেন। আমরা দ্রুত সেই কাজ করে তাঁকে দেব।’’

চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল এবং বাঁশবেড়িয়াকে কেন্দ্র করে হুগলিতে অনেক কিছুই দেখার জায়গা রয়েছে। পর্যটকদের ভিড়ও হয়। সব ক’টি জায়গাকে নিয়ে একটি পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

কলকাতার সঙ্গে এখানে সড়ক ও রেলপথে ভালো যোগাযোগ রয়েছে। তা ছাড়া জলপথকে ব্যবহার করেও আগামী দিনে ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের এই শহরগুলি। এখন কেউ যদি মনে করেন, তিনি গঙ্গার পাড়ে সপরিবার রাত্রিবাস করবেন, বর্তমানে চুঁচুড়ায় তেমন সুযোগ নেই। সেই কারণেই পুর কর্তৃপক্ষ পর্যটনের দিক থেকে এই শহরকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার ব্যাপারে আগ্রহী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *