ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: মিরিকের পর এ বার রোহিণী হ্রদ। দার্জিলিং পাহাড়ে আরও এক পর্যটনকেন্দ্রে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হল। এই হ্রদকে কেন্দ্র করে বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনাও।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে তৎকালীন দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিং এই লেকটি উদ্বোধন করেছিলেন। তার পর থেকে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়নি এই পাহাড়ি হ্রদে। এ বার হ্রদে বোটিং শুরু করায় বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়।
কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে কার্শিয়াং থেকে রোহিনী পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবা চালু করা হবে। তার পরই গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রোহিনী লেককে সংস্কারের কাজ শুরু করে। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে হ্রদটি। এখানে বোটিং চালু করা হয়েছে। এর পর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে দেখা গিয়েছে লেকে।
শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াংয়ের দিকে যেতে গেলে রোহিণী হয়ে যেতেই হয়। এখান থেকে পাহাড়ি পথ শুরু। পাহাড়ের ঠিক পাদদেশে প্রায় ২২ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে লেকটি। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই লেক।
রোহিনী হ্রদে ৬টি প্যাডেল বোট নামানো হয়েছে। এক একটি বোটে চার জন করে বসতে পারবে। বোটিংয়ের জন্য আপাতত জনপ্রতি ৫০ টাকা করে টিকিট মূল্য ধার্য করা হয়েছে। রোহিনী লেককে কেন্দ্র করে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় খুশি স্থানীয়রা।
তবে, রোহিনী লেক থেকে কার্শিয়াংয়ের রোপওয়ে পরিষেবার কাজ এখনও শেষ হয়নি। একবার এই অঞ্চলে রোপওয়ে পরিষেবা চালু হলে এই অঞ্চলের জনপ্রিয়তা যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।