জৈসলমের শহরে সত্যজিৎ রায়ের মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা রাজস্থান সরকারের

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের প্রতি রাজস্থানের জৈসলমের কতটা ঋণী সেটা শহরের আনাচেকানাচে ঘুরলে ঠিক বুঝতে পারা যায়। বিশেষ করে সোনার কেল্লায় প্রবেশ করলেই অন্য রকম অনুভূতি আসে। ‘রায় বাবু’ বলতে অজ্ঞান গোটা সোনার কেল্লা। কারণ সোনার কেল্লাকে যিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তুলেছেন তিনি হলেন বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা পরিচালক সত্যজিৎ রায়। সেই জৈসলমেরে সত্যজিৎ রায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিল রাজস্থান সরকার।

১৯৭৪ সালে বড়োপর্দায় মুক্তি পায় ‘সোনার কেল্লা’। সত্যজিৎ রায় নিজের লেখা ফেলুদা সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় গল্প নিয়ে এই ছবি তৈরি করেছিলেন। অনেকেই মনে করেন সত্যজিতের তৈরি ফেলুদা সিরিজের এটিই সব চেয়ে জনপ্রিয় ও সেরা ছবি। ফেলুদা, তোপসে ও লালমোহনবাবুর রসায়নে জমজমাট ছিল সেই ছবি। সেই গল্পেই ট্রেন থেকে সোনালি রঙের জৈসলমের ফোর্ট দেখে মুকুল বলে উঠেছিল ‘সোনার কেল্লা’। সেই থেকে দ্বাদশ শতকে ভাটি রাজপুতদের গড়া এই কেল্লা সত্যজিৎ রায়ের পথ ধরে হয়ে গেল সোনার কেল্লা।

সেই থেকে আজ অবধি বাঙালির কাছে সেই ফোর্ট সোনার কেল্লা। এমনকি স্থানীয় মানুষজনও সেই কেল্লাকে ‘সোনার কিলা’-ই বলেন। সোনার কেল্লার ভেতরে এখনও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করেন। এই কেল্লা পৃথিবীর অন্যতম কেল্লা যেখানে এখনও এত মানুষ বসবাস করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাঙালি পর্যটকদের থেকে রাজস্থান পর্যটন দফতর আয় করেছে ভারতীয় মুদ্রায় ৪ কোটি।

২০২৪ সালে ‘সোনার কেল্লা’ মুক্তির ৫০ বছর পূর্ণ হবে। তাই আগামী বছরই জৈসলমেরে সত্যজিৎ রায়ের মূর্তি উন্মোচনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কলকাতায় রাজস্থান পর্যটনের অন্যতম মুখ্য আধিকারিক হিঙ্গল দন রত্নু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জৈসলমের জেলা প্রশাসন সত্যজিতের মূর্তি স্থাপনের ব্যাপারে রাজস্থান সরকারকে সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশ গৃহীতও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত নিজে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন এবং এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন। সেপ্টেম্বরের আগেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করছেন হিঙ্গল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *