নতুন সমুদ্রসৈকতের খোঁজ পশ্চিমবঙ্গে, পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: নতুন এক সমুদ্রসৈকতের খোঁজ পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গে। তাকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল স্থানীয় প্রশাসন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমার দেশপ্রাণ ব্লকের দরিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা কানাইচট্টা সৈকতকে এ বার পর্যটনের মানচিত্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ আর সুন্দর সৈকতের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে কানাইচট্টা।

এই পরিবেশকে কাজে লাগিয়েই পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এগিয়ে এসেছে দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতি। পঞ্চায়েত সমিতির  উদ্যোগে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কানাইচট্টার সমুদ্রতীরে ঝাউবনের মধ্যে গেস্টহাউস গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ওই সমুদ্রসৈকতের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাগরসঙ্গমে সৈকতভূমি’। আগামী দিনে পঞ্চায়েত সমিতি ও দরিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সেজে উঠবে অখ্যাত এই স্পটটি।

কানাইচট্টায় আগে সে ভাবে কিছুই ছিল না। কিন্তু এই স্পটটির প্রতি ভ্রমণপ্রিয় মানুষের আগ্রহ এবং পর্যটনের অনুকূল সম্ভাবনা রয়েছে দেখেই প্রশাসনিক উদ্যোগ শুরু হয়। ভ্রমণপ্রিয় মানুষ যাতে সহজে সৈকতে যেতে পারেন, তার জন্য পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে দু’টি রাস্তা তৈরি হয়েছে।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় সেখানে একটি গেস্টহাউসও গড়ে তোলার কাজ চলছে। এর পর বাকি পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে। ঝাউবন ও ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে ভরা কানাইচট্টার সৈকত খুবই সুন্দর ও মনোরম। প্রকৃতি এখানে অপার সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে। দিগন্ত বিস্তৃত ঝাউবন, বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি কোনো কিছুরই এখানে অভাব নেই।

প্রসঙ্গত, কানাইচট্টার অদূরেই দারিয়াপুরে রয়েছে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত নানা নিদর্শন। রয়েছে ইতিহাসবিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দির এবং লাইট হাউস। এ ছাড়াও দরিয়াপুরের অদূরে রসুলপুর নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পেটুয়াঘাটে এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্যবন্দর রয়েছে। সব মিলিয়ে এখানে আগামী দিনে পর্যটকদের আগমন আরও বাড়তে পারে বলে আশাবাদী প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *