ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারি পড়তে চলল। শীত এখনও থাকলেও পুরুলিয়া ফের সেজে উঠবে মার্চ মাসে, যখন ফাগুন লাগবে বনে বনে। পলাশের পার্বণে মেতে উঠবে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম প্রান্তের এই জেলাটি।
পলাশ পার্বণে অনেকেই পুরুলিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন। এ বারও করুন। তবে এ বার আপনার গন্তব্য হোক কিছুটা অফবিট পুরুলিয়া। এ এক অন্য ‘সুন্দরবন’! তবে তা ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে ঘিরে নয়। রয়েছে বিস্তীর্ণ সোনাঝুরি জঙ্গলকে ঘিরে।
কাশীপুর শহরের কাছেই রয়েছে এই জলাশয়। প্রায় বছর পাঁচেক ধরে রঞ্জনডি ড্যামকে ঘিরে সাজিয়ে-গুছিয়ে জঙ্গলমহলের পর্যটনে নয়া ঠিকানার রূপ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের অর্থ সেই সঙ্গে কাশীপুরের বিদায়ী বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার উন্নয়ন তহবিল থেকে এই জলাশয় সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়। যার নাম দেওয়া হয়েছে যোগমায়া সরোবর।
সোনাঝুরি জঙ্গল ঘিরে থাকা এই সরোবর এখন চোখ টানছে পর্যটকদের। জলাশয়ের পাশে রয়েছে একটি অতিথিনিবাস। নৌকো বিহারে যেন সুন্দরবনের স্বাদ পাচ্ছেন।জলাশয়ের পাশে জঙ্গলের চেহারা মনে করাচ্ছে ম্যানগ্রোভ অরণ্যকেই। সেই সঙ্গে জলাশয়ের মধ্যেই সুন্দরবনের মতো একাধিক দ্বীপ। যেখানে খাটিয়া পেতে দিব্যি সময় কাটাতেপারছেন পর্যটকরা।
সেই সঙ্গে পরিযায়ী পাখির সমাহার তো আছেই। নৌকাবিহারের সময় হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন পানডুবি, পানকৌড়ি। এমনকি দেখা মিলতে পারে পিনটেল, বালি হাঁস বা নীল শিরেরও। নৌকাবিহারে গা ঘেঁষে ডানা ঝাপটিয়ে চলে যাবে পরিযায়ীর দল।