শুভদীপ চৌধুরী, পুরুলিয়া: শীত পড়তে না পড়তেই জেলার পাহাড়িয়া অঞ্চলগুলিতে শুরু হয়েছে পর্যটকদের ভিড়। পর্যটকদের যাতে কোনো রকম অসুবিধে না হয়, সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকম পরিষেবা। গড়ে উঠেছে যুব আবাস এবং পথসাথী।
পুরুলিয়া জেলার জয়চণ্ডী পাহাড়কে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাজ্য সরকার। এর পরই জয়চণ্ডী পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে যুব আবাস ও পথসাথী।
জয়চণ্ডী পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা এই যুব আবাসে ঘরের সংখ্যা মোট ৭২। শীতের মরশুমে প্রায় পুরো আবাসই বুক হয়ে যায়। যুব আবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বভারপ্রাপ্ত হিরন্ময় ঘোষ জানান, “এখানে কর্মচারী স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারাই। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কাছাকাছি বাজার না থাকায় এই সমস্যা। এ ছাড়াও বেশির ভাগ মহিলা কর্মী রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত। মহিলা কর্মীরা বেশি রাত পর্যন্ত এখানে থেকে কাজ করতে পারেন না।”
তবে শীতের মরশুমে হীরক রাজার এই দেশে আসেন অনেকেই । ট্রেকিং হোক বা পাহাড়ের চুড়োয় অবস্থিত চণ্ডীমন্দির। পর্যটকদের কাছে আরও বেশি করে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে এই জয়চণ্ডী পাহাড়।
যুব আবাসের অনলাইন বুকিং www.youthhostelbooking.wb.gov.in-এই পাওয়া যায় বুকিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। তা হলে এই শীতে ছোট্ট একটা সপ্তাহান্তে আপনারও পা পড়ুক জয়চণ্ডী পাহাড়ে।