ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: জায়গাটার নামটা বড্ড মিষ্টি – পাহাড়পুর। পুরুলিয়ার জনপ্রিয় ভ্রমণ সার্কিটের এক্কেবারে বাইরে এই পাহাড়পুর একটি অফবিট গন্তব্য।
পাহাড়পুর ইকো রিসর্টে প্রকৃতি নিজের ছন্দে ছড়িয়ে আছে। পুরো চত্বর জুড়ে আপন খেয়ালে রঙবেরঙের ফুল ফুটে থাকে। সবুজ ঘাসের আস্তরণের মাঝে সন্তর্পণে বসানো ইঁটের পায়েচলা পথ। এক দিকে একটা বড়ো পুকুর যেখানে আপনি ইচ্ছে করলে সাঁতারও কাটতে পারেন।

স্থানীয় গ্রামবাসীরা যে ভাবে নিজেদের বাড়ি বানান, ঠিক সেই ভাবেই এখানকার কটেজগুলো বানানো। খড়ের ছাদ আর উঁচু প্ল্যাটফর্মের ওপর কাঠের মেঝে। এতে যেমন গরমের প্রবল উত্তাপ আটকায় তেমনি পুরুলিয়ার কড়া শীতেও উষ্ণতা ধরে রাখা যায়। খুব আরামদায়ক ঘর।
আর সব থেকে মজার ব্যাপারটা হল এখানকার কটেজ লাগোয়া বাথরুম। এর ডিজাইন এই হোমস্টের প্রাণপুরুষ অরিন্দম দে-র ব্যতিক্রমী ভাবনার ফসল। এগুলোকে বলা যায় গার্ডেন টয়লেট, চারিদিকে পাঁচিলের ঘেরাটোপ থাকলেও মাথার উপর খোলা আকাশ, বিশাল কলাগাছ। এখানে সূর্যের আলো আসে, আসে হাওয়া। মাঝেমধ্যে ফুলও ফুটে থাকে। বাড়ির বা হোটেলের বদ্ধ বাথরুমের পর এই ওপেন বাথরুমটাই একটা আলাদা অভিজ্ঞতা।
এখানে বলে রাখা ভালো যে আর পাঁচজন সাধারণ পর্যটকের জন্য পাহাড়পুর আদর্শ নয়। যাঁরা শোরগোল পছন্দ করেন পাহাড়পুর তাঁদের জন্যও নয়। পাহাড়পুর আদর্শ ভ্রামণিকদের জন্য। শহুরে কোলাহলের বাইরে বেরিয়ে দুটো দিন স্রেফ নির্ঝঞ্ঝাটে কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে পুরোনো দিনগুলোর স্মৃতিতে ফিরে যাওয়ার আদর্শ জায়গা হল পাহাড়পুর।

পুজোর ক’টা দিন যদি কোলাহলের বাইরে কাটাতে চান, তা হলে আপনার ঠিকানা হতেই পারে পাহাড়পুর ইকো রিসর্ট।
কী ভাবে যাবেন
পাহাড়পুরের সব থেকে কাছের স্টেশন ইন্দ্রবিল। শুধুমাত্র ১৮০১১ হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস এবং ১৮০১৩ হাওড়া-বোকারো এক্সপ্রেস ইন্দ্রবিলে থামে। তবে সব থেকে ভালো হয় যে কোনো ট্রেনে আদ্রা পৌঁছোলে। আদ্রা থেকে পাহাড়পুর ইকো রিসর্ট ২৫ কিলোমিটার।
বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ: 9903763296