একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ধ্বংসের মুখে গোবর্ধনপুর সমুদ্র সৈকত

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জের পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোবর্ধনপুরকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তালোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু বর্তমানে সেই সৈকতের করুণ দশা। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় নিশ্চিহ্ন সমুদ্রের ধারের ঝাউবন। ঘুরতে এসে হতাশ হচ্ছেন পর্যটকরা।

বেশ কয়েক বছর আগে জলপথে সুন্দরবন ভ্রমণের সময় পাথরপ্রতিমার জি প্লটের এই দ্বীপটি নজরে আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গোবর্ধনপুরের সৈকতকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নির্দেশ দেন। ওই এলাকার উন্নয়নে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দও করে রাজ্য সরকার। তৈরি হয় হোমস্টেও। ধীরে ধীরে আগমন বাড়তে থাকে পর্যটকদের।

কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে বেহাল অবস্থা পর্যটনকেন্দ্রের। নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার ঝাউগাছ। প্রশাসনের থেকে তা রক্ষা করারও তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে ঘুরতে এসে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের।

এই বেলাভূমিতে পৌঁছোতে জি -প্লট দ্বীপের ঘাট থেকে তৈরি হয়েছে প্রায় ২০ কিমি পাকা রাস্তা। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার সেই রাস্তায় ইতিমধ্যে যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। সড়কপথে পর্যটকদের এক দ্বীপ থেকে আর এক দ্বীপে যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি পাকা সেতু তৈরি করা হয়েছে।

পর্যটকদের খাওয়া-থাকার জন্য আধুনিক মানের পরিবেশবান্ধব লজ ও কটেজও প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এমনকি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ইন্দ্রপুরে একটি কোস্টাল থানা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু যে ভাবে পর্যটনকেন্দ্রটাই নষ্ট হতে বসেছে, তাতে পর্যটকরা রীতিমতো হতাশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *