ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: দূষণমুক্ত আবহাওয়ায় একটার পর একটা চমক দিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি। এ বার বিহারের এক গ্রাম থেকেই দেখা গেল মাউন্ট এভারেস্ট। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। লকডাউনের আশীর্বাদে এ বার পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গের দর্শন পেলেন বিহারের বাসিন্দারা
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নেপাল সীমান্ত লাগোয়া সীতামাঢ়ি জেলার সিংহবাহিনী গ্রামে। টুইটারে একটি তুষারাবৃত শৃঙ্গের ছবি পোস্ট করে সেটিকে এভারেস্ট বলে দাবি করেছেন ওই গ্রামের মুখিয়া রীতু জয়সওয়াল।
हम सीतामढ़ी जिले के अपने गाँव #सिंहवाहिनी में अपने छत से #MtEverest देख सकते हैं आज। प्रकृति खुद को संतुलित कर रही है। नेपाल के नज़दीक वाले पहाड़ तो बारिश के बाद साफ मौसम में कभी कभी दिख जाते थे। असल हिमालय के दर्शन अपने गाँव से आज पहली बार हुए।#NatureisBalancing@KashishBihar pic.twitter.com/Ss3UHAzxWN
— Ritu Jaiswal (@activistritu) May 4, 2020
হিন্দিতে লেখা পোস্টে রীতু বলেন, “আজ আমরা আমাদের গ্রামের বাড়ির ছাদ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট দেখতে পেলাম। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসছে। আগে মাঝেমধ্যে খুব বৃষ্টি হলে নেপালের পাহাড় দেখা যেত, কিন্তু আজ প্রথম এভারেস্টের দর্শন পেলাম।”
তবে ওটা যে এভারেস্টই সেটা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে। কারণ আমরা যে ভাবে এভারেস্টকে দেখি, এই ছবিতে সে রকম লাগছে না। সে কারণে ওই মহিলাকে একজন প্রশ্ন করেন, “ম্যাডাম, কী ভাবে আপনি বুঝছেন এটা এভারেস্ট?”
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের গোড়ায় পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিতে পারে দুবাই
সেই জবাবও দিয়েছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “দূর থেকে হিমালয় দেখা গেলে সাধারণত সব থেকে উঁচু শৃঙ্গটাই তো দেখতে পাব। আর তা ছাড়া এভারেস্ট আমাদের গ্রামের উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত। এই শৃঙ্গটা উত্তরপূর্বেই। ৮০-এর দশকে আমার স্বামী তাঁদের ছোটোবেলায় এভারেস্ট দেখেছেন। সে কারণেই আমি নিশ্চিত ওটাই এভারেস্ট।”
উল্লেখ্য, লকডাউনের জেরে গোটা বিশ্বে সাংঘাতিক ভাবে কমে গিয়েছে দূষণের মাত্রা। আর সেই কারণেই কখনও জলন্ধর থেকে দেখা যাচ্ছে তুষারাবৃত ধৌলাধার, তো কখনও কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে পির পঞ্জাল আবার কখনও বা উত্তরপ্রদেশের সহারনপুর থেকে দেখা যাচ্ছে গাড়োয়ালের গঙ্গোত্রী পিক।
কিন্তু বিহার থেকে এভারেস্ট দেখা যাওয়া সম্ভবত সাম্প্রতিক অতীতের সব ঘটনাকেই ছাপিয়ে গেল।