নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন তিনেক পরেই বড়োদিন। তার পরেই বর্ষ বিদায়ের সুর। আসবে নতুন বছর ২০১৯। হিমেল হাওয়ার পরশ নিয়ে সপ্তাহব্যাপী আনন্দে মেতে উঠতে চলেছে মহানগরী। ‘সিটি অব জয়’-এ মানুষকে নানা উপহার দিতে বিনোদন পার্কগুলো সেজে উঠছে নবরূপে। সঙ্গে রয়েছে বহু চমক। কোথাও রয়েছে এসি টয়ট্রেন, কোথাও বা প্যারিসের আদলে তৈরি আইফেল টাওয়ার থেকে নগর দর্শন। আবার কোথাও গোটা পার্কটি সেজে উঠছে রং-বেরঙের চিনা আলোয়। এ ভাবেই দু’টি বছরের সন্ধিক্ষণে তৈরি হয়েছে ইকো ট্যুরিজম পার্ক থেকে কলকাতার জাদুঘর বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
আরও পড়ুন ওড়িশার দারিংবাড়িতে কি সত্যিই বরফ পড়ে?
বিনোদনের বড়ো কেন্দ্র নিউটাউনের ইকো পার্ক। সারা বছরই এখানে লোক সমাগম ঘটে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ইকো পার্ক। বিগত দু’ বছর ধরে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি ভিড়ের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ইকো পার্ক। এ বছর এখানে মূল আকর্ষণ হতে চলেছে এসি টয়ট্রেন। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, “এ বার দর্শকদের জন্য অনেক চমক রয়েছে ইকো পার্কে। যেমন এসি ট্রেন, সপ্তম আশ্চর্য, স্কাল্পচার গার্ডেন বা ভাস্কর্য উদ্যান, আইফেল টাওয়ার ইত্যাদি।”

উল্লেখ্য, এ বছর প্রথম দর্শকদের জন্য চালু করা হচ্ছে লাক্সারি এসি ট্রেন। এই ট্রেনে থাকছে গদি মোড়া আরামাদায়ক বসার ব্যবস্থা। কাচে ঘেরা পর্দা দেওয়া জানলা। সপ্তম আশ্চর্য আগে থেকেই ছিল, সেটা পুরো খুলে দেওয়া যায়নি। এ বার শীতে তা পুরো খুলে দেওয়া হচ্ছে। আইফেল টাওয়ারটি অভিনব। লিফটে চড়ে উপরে উঠে চার দিক দেখা যাবে। সেখান থেকে দর্শকরা দেখতে পাবেন নবনির্মিত ঝুলন্ত রেস্তোরাঁটিও। আইফেল টাওয়ার খুলে দেওয়া হবে ২৫ ডিসেম্বর। ভাস্কর্য উদ্যানে এ বার নতুন সংযোজন অডিও ভিস্যুয়াল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড।
নিকো পার্কে এ বারের আকর্ষণ ফেস্টিভ্যাল অব লাইট। বিশেষ ধরনের ‘ম্যাজিক্যাল পান্ডা লাইট’-এর আয়োজন করেছে একটি চিনা কোম্পানি। নানা দেশে এই আলোর উৎসবের আয়োজন করার পর এ বার আসছে কলকাতায়। আলোর এই খেলা দেখা যাবে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত।

সায়েন্স সিটিতেও থাকছে বিশেষ আকর্ষণ। অধিকর্তা শুভব্রত চৌধুরী বলেন, “থাকছে থ্রিডি ফিল্ম থিয়েটার। থাকছে ডার্ক রাইড, যেখানে তুলে ধরা হয়েছে মানবজাতির ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস। ডিজিট্যাল প্যানোরামার সাহায্যে দেখানো হবে এভ্যুলিউশনের নানা পর্যায়।”
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ডিরেক্টর জয়ন্ত সেনগুপ্ত জানান, “আমাদের এ বারে মূল আকর্ষণ পুরো বাগান জুড়ে খ্রিস্টমাস ফেস্টিভ লাইট। এই লাইট থাকবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঝেমাঝেই লাইভ মিউজিক চলবে।”
আলিপুর চিড়িয়াখানার এ বারের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে নকটারনাল হাউজ বা রাতচরাদের আবাস। তৈরি হয়েছে হায়নার ঘর। এ ছাড়াও একটি বাঘ আনা হচ্ছে চিড়িয়াখানায়।