দেহরাদুন: ছ’ মাস বন্ধ থাকার পর এপ্রিল মাসের শেষেই দরজা খুলে যাওয়ার কথা উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ আর বদরীনাথ মন্দিরের। কিন্তু প্রথা মেনে নির্দিষ্ট দিনেই এ বার সেটা হবে কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এমনিতেই লকডাউনের জেরে দেশে সব ধর্মীয় স্থানই এখন দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ। ফলে কেদার-বদরীর মন্দিরেও কোনো ভাবে দর্শনার্থীরা যাবেন না। কিন্ত তা বলে তো আর আনুষ্ঠানিক দ্বারোন্মোচন তো বন্ধ রাখা যায় না। অল্প কয়েক জনের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান হতে পারে।
কিন্তু সমস্যা হল এই দুই মন্দিরের মূল পূজারীই এখন উত্তরাখণ্ডের বাইরে রয়েছেন। কেদারনাথের মূল পূজারী রয়েছেন মহারাষ্ট্রে আর বদরীনাথের মূল পূজারি কেরলে।
পূজারিদের উত্তরাখণ্ডে নিয়ে আসার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদনও করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সেই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও প্রাথমিক ভাবে সায় দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, উত্তরাখণ্ডে এলে দু’ জনকেই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে মানসভ্রমণ: সৈকত-মন্দিরের শহর তিরুচেন্দুর
অর্থাৎ পূজারিদের যদি কয়েক দিনের মধ্যে উত্তরাখণ্ডে নিয়ে আসাও যায়, তবুও দ্বারোন্মোচনের দিন তাঁরা সশরীরে মন্দিরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
এ ক্ষেত্রে কেদার আর বদরীর জন্য দু’ ধরনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মূল পূজারীর পরিবর্তে অন্য কোনো পূজারির হাত দিয়ে কেদার মন্দির খোলানো যায় কি না, সেটা ভেবে দেখার জন্য কেদারনাথ-বদরীনাথ মন্দির কমিটির কাছে আবেদন করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
অন্য দিকে টেহরির রাজপরিবারের কাছে আবেদন করেছে যদি বদরীনাথের মন্দির খোলার দিন পিছিয়ে দেওয়া যায়। উল্লেখ্য, বদরীনাথ মন্দিরের দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে টেহরির রাজপরিবারের ওপরে।