ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: হেঁটে কৈলাস, মানস সরোবর যাওয়ার দিন শেষ। এ বার শুধু পরিক্রমাটুকু হেঁটে করলেই হবে।
আজ না হোক কাল, লকডাউনের জেরে ঘরবন্দি দশা তো এক দিন ঘুচবেই। তখন আবার শুরু হবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শুরু হবে কৈলাস-মানস যাত্রা। কিন্তু তখন আর হেঁটে যেতে হবে না। তৈরি হয়ে গেল নতুন রাস্তা – ঘটিয়াবগড় (ধারচুলা) থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কৈলাস-মানসযাত্রার নতুন লিঙ্ক রোডের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাবানে।
এই উপলক্ষ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইট করেন, “আজ মানস সরোবরগামী লিঙ্ক রোডের উদ্বোধন করে আনন্দিত হলাম। কৈলাস-মানস যাত্রা রুট বলে যে পথটি পরিচিত, সেই পথে ধারচুলা থেকে লিপুলেখ পাস (চিন সীমান্ত) পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)।”

এই সড়ক খুলে দেওয়ার পর কিছু গাড়ির একটি কনভয় পিথোরাগড় থেকে গুনজি পর্যন্ত যায়। তাঁদের যাত্রারও সূচনা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষাবাহিনী এবং সীমান্ত গ্রামগুলির সুবিধার জন্য বিআরও উত্তরাখণ্ডে কৈলাস-মানস যাত্রাপথে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলল।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র-জন্মদিনে ফিরে দেখা: মংপুর রবীন্দ্রভবনে কিছুক্ষণ
মন্ত্রকের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন কৈলাস-মানস যাত্রাপথে চিন সীমান্ত পর্যন্ত সংযোগসাধন করল। কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি বিআরও কৈলাস-মানস যাত্রাপথে ১৭০৬০ ফুট উচ্চতায় লিপুলেখ পাসকে সড়কপথে সংযুক্ত করল। এর ফলে প্রতিরক্ষাবাহিনী এবং সীমান্ত গ্রামগুলির মধ্যে সু-যোগাযোগের ব্যবস্থা হল।”
নতুন রাস্তা লিপুলেখ পাস পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে। এখান থেকে কৈলাস পর্বত ৯৭ কিমি উত্তরে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, এই রাস্তা তৈরি হওয়ায় দিল্লি থেকে লিপুলেখ আসতে দু’ দিন সময় লাগবে, দূরত্ব ৭৫০ কিমি। এই রাস্তা তৈরি হওয়ার ফলে কৈলাস-মানস যাত্রীদের কৈলাস পৌঁছোতে ৬ দিন কম সময় লাগবে।