ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ৪৬ বছর পর অবশেষে স্থায়ী স্থান পেল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। সোমবার ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’-এ বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘‘বইমেলা তার নিজস্ব ঠিকানা পেল।’’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন স্পেনের মন্ত্রী মাকিয়া খোসে গালবেজ সালবাদোর, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
মমতা জানান, অতিমারির সময়েও গত বছর ভালো ব্যবসা করেছিল বইমেলা। তাঁর কথায়, ‘‘প্রায় ২৩ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। ২৩ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। এ বার তো কথাই নেই।’’ এখন বইমেলায় অন্য রাজ্য থেকেও মানুষ আসেন, সে কথাও জানালেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘‘আগে অন্য রাজ্যের লোকেরা ভাবতেন, আমাদেরও তো মেলা হয়। এ বার তাঁরা অভিনন্দন জানাচ্ছেন। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ থেকেও মানুষ আসছেন। আপনারা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছেন।’’ লিটল ম্যাগাজিনের মূল্যও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ছোটো কয়েক পাতার লিটল ম্যাগাজিনও কম নয়। তার মধ্যে অনেক তথ্য থাকে।’’
এ বারের বইমেলার থিম স্পেন। এই প্রথম মেলায় যোগ দিয়েছে তাইল্যান্ড। বইমেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে প্রায় ৭০০ ছোটো-বড়ো বইয়ের স্টল, ২০০টি লিটল ম্যাগাজিন। এ বছর প্রথম বার অনেক নতুন ছোট-বড়ো প্রকাশক মেলায় এসেছেন। বইমেলায় ঢোকা এবং বার হওয়ার জন্য থাকছে ন’টি ফটক। একটি দরজা হয়েছে স্পেনের তোলেদো গেটের আদলে। বাকি তোরণের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববাংলা গেট এবং শতবর্ষ উপলক্ষে অগ্নিবীণা গেট।
এ বার মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং প্যারীচরণ সরকারের দ্বিশত জন্মবর্ষ। সে কারণে তাঁদের নামেই বইমেলার দু’টি প্রেক্ষাগৃহের নাম রাখা হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন হবে লেখক-সম্পাদক রমাপদ চৌধুরীর নামে। এ বছর তাঁর জন্মশতবর্ষ। মৃণাল সেন এবং তরুণ মজুমদারের নামে দু’টি মুক্তমঞ্চও থাকছে। বইমেলায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত বাস চালাবে রাজ্য পরিবহন দফতর। এ বার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চেপেও আসা যাবে বইমেলায়।