পুলওয়ামার ঘটনা তেমন প্রভাব ফেলেনি বাঙালির কাশ্মীর ভ্রমণ-ইচ্ছায়, মনে করেন মহম্মদ হামজা

Kashmir's hotel in TTF Summer

নিজস্ব প্রতিনিধি: “আজ না হয় যেতে পাচ্ছি না কাশ্মীরে, কিন্তু কাল-পরশু তো আছেই। না হয় কয়েক মাস পরে যাব, খোঁজখবর তো নিয়ে রাখি। ট্যুরিস্টরা আসছেন আর এ কথাই বলছেন। বাংলার মানুষদের দেখে আমি অভিভূত” – কথাগুলো মহম্মদ হামজার।

মহম্মদ হামজা কাশ্মীরের পর্যটন সংস্থা স্পেস ট্যুরিজমের ডিরেক্টর তথা সিইও। কলকাতায় এসেছেন পর্যটন মেলা ‘টিটিএফ-সামার’-এ যোগ দিতে। মেলা চলছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। রবিবার মেলার শেষ দিন। হামজাকে পেয়ে গেলাম শ্রীনগরের ‘হোটেল দ্য কায়জার’-এর স্টলে।

আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গের সাফারি বুকিং করুন এ বার অনলাইনে

কাশ্মীরে পর্যটন ব্যবসার সুবাদে বাঙালি ট্যুরিস্টদের ভালোই চেনেন, ভালোই বোঝেন হামজা। কিন্তু এই প্রথম কলকাতায় আসা তাঁর। তাই পুলওয়ামা হাঙ্গামার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা চিন্তা ছিল। এই মুহূর্তে বাঙালি কী ভাবছেন কাশ্মীর নিয়ে, তাঁদের কাশ্মীর ভ্রমণে কতটা প্রভাব ফেলেছে পুলওয়ামার ঘটনা – এ সব নিয়ে কিছুটা ভাবিত ছিলেন হামজা। কিন্তু ‘টিটিএফ-সামার’-এ যোগ দিয়ে হামজা বুঝেছেন তাঁর সমস্ত দুশ্চিন্তা অমূলক।

হামজা বললেন, “স্টলে যাঁরাই আসছেন, তাঁরাই বলছেন, এখন না হোক, মাস তিনেকের মধ্যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই হবে। বাংলায় এসে আমি অভিভূত। কাশ্মীরের প্রতি যে বাঙালির এত আগ্রহ, তা এখানে না এলে বুঝতে পারতাম না। দু’দিন ধরে স্টলে প্রচুর লোক এসেছেন। তাঁরা কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে নানা খোঁজখবর করেছেন।”

Mohd. Hamza.
মহম্মদ হামজা। নিজস্ব চিত্র।

হামজা আদতে কারগিলের মানুষ। কারগিলে একটি হোটেল চালান। শ্রীনগরেও হোটেল খুলেছেন। হামজা জানালেন, কারগিলে দ্বিতীয় আরেকটি হোটেল মে মাসে খুলতে চলেছেন। তাঁর প্রধান ক্লায়েন্ট যে বাঙালি ট্যুরিস্ট এবং বাঙালি ট্যুরিস্ট যে কোনো পরিস্থিতিতেই কাশ্মীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেননি, তা স্মরণ করিয়ে দিলেন হামজা। কারগিল যুদ্ধে যে সব ভারতীয় সেনা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে প্রতি বছর শহিদ দিবস পালন করেন তিনি।

কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হামজা বলেন, দেশের শত্রুদের উদ্দেশ্য কখনোই সফল হবে না। সকলের কাছে তাঁর একটাই আবেদন, মুষ্টিমেয় কয়েক জনের জন্য যেন গোটা রাজ্যকে আমরা যেন খারাপ চোখে না দেখি।

‘হোটেল দ্য কায়জার’-এর স্টলে দেখা হয়ে গেল উত্তর কলকাতা থেকে আসা প্রদীপ দত্তের সঙ্গে। প্রদীপবাবু মনে করেন, কাশ্মীর ছাড়া ভারতের ভ্রমণ-মানচিত্র অসম্পূর্ণ। কাশ্মীর ভারতের মুকুট। তাই কাশ্মীর না দেখলে ভারত-দর্শন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রদীপবাবুর ধারণা, দু-এক মাস পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি থিতিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটও হয়ে যাবে। তখন কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়া যাবে। সে ব্যাপারেই তিনি হোটেল ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে জানার জন্য এই পর্যটন মেলায় এসেছেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *