এল এমু আর টার্কি, পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গা এখন রঘুনাথগঞ্জের এই পার্ক

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: পর্যটন মানচিত্রে নতুন মাত্রা দিতে এগিয়ে এল জঙ্গিপুর পৌরসভা। তাদের উদ্যোগে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের সুভাষ দ্বীপের পাখিরালয়ে নিয়ে আসা হল ছ’টি এমু পাখি ও ১২টি টার্কি পাখি। জঙ্গিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম ও পৌর কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে এই পাখিগুলিকে ছাড়া হল।

জঙ্গিপুর পৌরসভার উদ্যোগে রঘুনাথগঞ্জে অবস্থিত সুভাষ দ্বীপ। বর্তমানে প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা এই সুভাষ দ্বীপে। তবে পাখি থাকলেও তা ছিল সংখ্যায় কম। এই জল-মাটিকে ভালোবেসে তাদের কেউ কেউ রয়ে গিয়েছে এখনও। দূর প্রান্তের উড়ানে ডানা মেলার আগে এখনও অতিথি পাখির কলকাকলিতে মজে রঘুনাথগঞ্জের এই পাখিরালয়। তাই নতুন ভাবনা নেয় জঙ্গিপুর পৌরসভা। জঙ্গিপুর পৌরসভার উদ্যোগে ছাড়া হল পাখি।

মূলত, এমু পাখি বড়ো পাখি হিসেবেই পরিচিত। পর্তুগিজ, আরবি থেকে নামটি অনুবাদ করা হয়েছে “বড়ো পাখি” হিসাবে। এমু সম্পর্কে আশ্চর্যজনক বিষয় হ’ল সুন্দর সাঁতার কাটার ক্ষমতা। টার্কি হল উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের একটি সুপরিচিত পাখি। এই পাখিটি খুব সহজ পদ্ধতিতে পালন করা যায়। এই পাখিটি সাধারণত মাংস ও ডিমের জন্য পালন করা হয়।

ভারতে এই পাখিটি পালন শুরু হয়েছে অনেক পরে। প্রথম দিকে এই পাখিটি খুব একটা পরিচিত না হলেও পরে এই পাখিটি অনেক পরিচিতি পেয়েছে। তাই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে এই টার্কি পাখি নিয়ে আসা হল পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *