পর্যটকদের আগমন বেড়েছে, লাভের মুখ দেখছে দুয়ারসিনি

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: ক্রমশ পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে দুয়ারসিনি পর্যটনকেন্দ্রে। গত কয়েক বছরে করোনা-হানায় ফের বেসামাল হয় পর্যটন শিল্প। মহামারির চোখরাঙানি কমতেই সেখানে ফিরেছে পর্যটকদের চেনা কোলাহল। এ বার পুজোতেও বহু পর্যটক এসেছেন। পর্যটনকেন্দ্র থেকে আয়ের মুখ দেখায় উৎসাহিত যৌথ বনপরিচালন কমিটিও।

গত দু’ বছরে দুয়ারসিনি পর্যটনকেন্দ্র থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে বলে দাবি বন দফতরের। লভ্যাংশ হিসেবে দু’ বছরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আয় করেছে যৌথ পরিচালন কমিটি। সামনের পর্যটন মরশুমে দুয়ারসিনিকে ঘিরে বিপুল আয়ের আশা করছেন কমিটির সদস্যেরা।

ডিএফও (কংসাবতী দক্ষিণ) অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘দুয়ারসিনি প্রকৃতি ভ্রমণকেন্দ্র থেকে আয় বাড়ছে। যৌথ বনপরিচালন কমিটির সদস্যেরা লাভের মুখ দেখছেন, স্বর্নিভর হচ্ছেন। এ বার দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজোর সময়ের মধ্যেই এক লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।’’

বন দফতরের সহযোগিতায় দুয়ারসিনিতে কয়েকটি কটেজ চালায় আসনপানি গ্রামের বনপরিচালন কমিটি। কমিটির সভাপতি মণীশ টুডু বলেন, “পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। সেখান থেকে ভালো আয় হচ্ছে। সেই টাকা গ্রামের উন্নয়নের কাজে খরচ করা হবে।’’

বন দফতর সূত্রে খবর, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কম-বেশি ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আয় হয়েছে কটেজ থেকে। স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে খবর, ২০০১-এর ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বন প্রতিমন্ত্রী বিলাসীবালা সহিস দুয়ারসিনি ভ্রমণকেন্দ্রে তিনটি কটেজের উদ্বোধন করেছিলেন। ২০০৬-এ বিস্ফোরণে কটেজ উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। ২০০৮-এ বন্ধ করে দেওয়া হয় পর্যটনকেন্দ্রের দরজা। ২০১৮-য় এই পর্যটনকেন্দ্র আবার খুলে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *