ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা এলাকায় রয়েছে চার সতীপীঠ। দেবী দুর্গার ৫১ পীঠস্থানের মধ্যে চারটি রয়েছে এই অঞ্চলে। এখানে দেবীর ভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। তাই সারা বছর ভক্তদেরও ভিড় লেগে থাকে এখানে। এ বার এই চার সতীপীঠকে নিয়ে ‘সার্কিট ট্যুরিজম’ শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যটন দফতর। ‘সতীপীঠ দর্শন’ প্যাকেজের মাধ্যমে ঘুরিয়ে দেখানো হবে চার সতীপীঠ। কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম থানা এলাকায় রয়েছে চারটি সতীপীঠ। মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে রয়েছে যোগাদ্যা মন্দির। কথিত রয়েছে, এই এখানে সতীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল পড়েছিল।
ক্ষীরগ্রাম থেকে কিছুটা দূরে মঙ্গলকোটের উজানিতে আরও এক সতীপীঠ রয়েছে। এই জায়গা কোগ্রাম নামেও পরিচিত। এখানে দেবী মঙ্গলচণ্ডীর পুজো হয়। এই সতীপীঠে সতীর বাম হাতের কনুই পড়েছিল। অন্য দিকে, কেতুগ্রামে রয়েছে সতীপীঠ বাহুলাক্ষী। এখানে দেবীর বাম বাহু পড়েছিল বলে কথিত আছে।
এই কেতুগ্রামে আর এক সতীপীঠও রয়েছে, অট্টহাস। এখানে দেবীর অধ ওষ্ঠ পড়েছিল। অট্টহাস মন্দিরের ঠিক লাগোয়া ঘন জঙ্গল আছে। এখানে বছরের এক বিশেষ সময় শামুলখোল পাখির ভিড় জমে। এই চার সতীপীঠকে এ বার একসঙ্গে ঘুরে দেখাতে উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন দফতর।
এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যটন বিভাগের আধিকারিক মহম্মদ হোসেন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একই দিনে ঘুরে দেখতে পারবেন কাটোয়া মহকুমার চার সতীপীঠ। কাটোয়া রেলস্টেশন থেকে পর্যটকদের পিকআপ করা হবে। চার সতীপীঠ ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য থাকবে গাড়ির ব্যবস্থা। পাশাপাশি সকালের জলখাবার থেকে শুরু করে দুপুরের খাবার, চা-বিস্কুট, স্ন্যাকসের ব্যবস্থা থাকবে পর্যটকদের জন্য। ‘সতীপীঠ দর্শন’ প্যাকেজের অনুমোদন এসে গেলেই নির্দিষ্ট পোর্টালও চালু করবে পর্যটক দফতর। অনলাইনে গিয়ে চার সতীপীঠ ঘুরে দেখার জন্য পর্যটকেরা বুকিং করতে পারবেন।