ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আর কোনো ভয়ডর নেই, সেটা তাদের ভ্রমণের বেরিয়ে পড়ার প্রবণতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর সেই প্রবণতা এতটাই বেশি যে বিমান টিকিটের চাহিদা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
২০১৯ সালের বর্ষশেষে কোভিডের আগে বিমানের টিকিটের যে রকম চাহিদা ছিল, তার দ্বিগুণ এখন চাহিদা। অল্পবয়সী থেকে শুরু প্রবীণ, সবারই বিমানে চেপে বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক বেড়েছে। যার ফলে টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া হলেও চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী।
গত ২৪ ডিসেম্বর বড়োদিনের আগে সবচেয়ে মানুষ অন্তর্দেশীয় বিমানে সফর করেছেন। একদিনে প্রায় ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার যাত্রী। এর আগে কোভিড-পূর্ব সময়ে এই দিনে সর্বোচ্চ ছিল ৪ লক্ষ ২০ হাজার যাত্রী। সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে নয়া রেকর্ড গড়েছে গত ২৪ ডিসেম্বর। এমনকি আকাশছোঁয়া টিকিটের দাম, হোটের ভাড়া ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সত্ত্বেও মানুষের এখন ‘কুছ পরোয়া নেহি’ মনোভাব।
এত যাত্রীর জেরে গত কয়েকদিন ধরে এয়ারপোর্টগুলিতে তিল ধারণের জায়গা মিলছে না। বিমানবন্দরে লোকারণ্য, সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলি। যার ফলে অসামরিক বিমান মন্ত্রকের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে। তার পর থেকে সরকারি উদ্যোগে এয়ারপোর্টে ভিড় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
শুধু আন্তর্দেশীয়ই নয়, ভিসা নীতি শিথিল হওয়ার ফলে বিদেশে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। কাছাকাছির মধ্যে বাজেট বেড়ানোর জন্য দুবাই, ব্যাঙ্কক, ফুকেট, মালে এবং সিঙ্গাপুরই সবচেয়ে বেশি পছন্দ ভারতীয়দের। একটু খরচ ও দূরত্ব বাড়লে লন্ডনও পছন্দের তালিকায় আছে।