‘বুদ্ধের ভূমি’তে পর্যটক আনতে একাধিক পদক্ষেপ কেন্দ্রের

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক : গৌতম বুদ্ধকে সম্বল করে আবার পর্যটন শিল্পে গতি আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল জোর দিয়েছেন আরও বেশি করে বৌদ্ধদের তীর্থস্থানগুলিতে পর্যটক আনার জন্য।

করোনার জেরে ইতিমধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন শিল্প। বিশেষ করে হোটেল ব্যবসায় সব চেয়ে বেশি ধাক্কা লেগেছে। আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের গতি কী করে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা-চর্চা শুরু হয়েছে।

গত সপ্তাহে একটি ডিজিটাল বৈঠকে ট্যুর অপারেটরদের পর্যটনমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ভারত যেখানে বৌদ্ধ তীর্থস্থানে সমৃদ্ধ, সেখানে কেন হাতে গোনা কয়েক জন বৌদ্ধ পর্যটক এই সব তীর্থক্ষেত্র দেখতে আসেন? পরিস্থিতির কী ভাবে উন্নতি ঘটানো যায় তা নিয়ে আলোচনা চলে।

চলতি মাসের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন বৌদ্ধ পর্যটনকে আরও প্রসারিত করার। এর জন্য বৌদ্ধ পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করার দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুশীনগর বিমানবন্দরকে কেন্দ্র দ্রুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে, যাতে বৌদ্ধ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক আসেন।


আরও পড়ুন : কলকাতা থেকে সড়কপথে: পুবের ব্রাইটন দিঘা


পর্যটন মন্ত্রক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বৌদ্ধ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটক টানতে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে।

পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে শ্রাবস্তী, সারনাথ, কুশীনগর এবং সাঁচির মতো বৌদ্ধকেন্দ্রগুলিতে বিদেশি ভাষায় সাইনবোর্ডও লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চিনা ভাষাও।

রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্ব ভ্রমণ সংস্থার (ইউএন ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অর্গানাইজেশন) ‘রেসপনসিবল্‌ ট্যুরিজম’-এর নীতি মেনে যাতে পর্যটন শুরু করা যায় সে ব্যাপারেই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *