চামুর্চি: প্রথমে বলা হয়েছিল ভুটানে প্রবেশ করলেই বাড়তি টাকা গুণতে হবে পর্যটকদের। তার পর সেটা শুধরে নেওয়া হল। বলা হল কোনো বাড়তি টাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু শুক্রবার ভুটান খোলার পর যা জানা গেল তাতে অনেকেই হতাশ হবেন। দিনের ভ্রমণে কোনো বাড়তি টাকার প্রয়োজন নেই ঠিকই। কিন্তু সে দেশে রাত্রিবাস করতে গেলে পর্যটকদের বাড়তি টাকা দিতেই হবে। জনপ্রতি, প্রতি রাত বারোশো টাকা করে দিতে হবে।
তবে ভুটান খুলে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা এমনিতে খুশিই। কারণ দিনে ঘুরে আসার একটা স্পট তো বাড়ল। শুক্রবার সকালে ভুটানের রীতি মেনে পুজোআচ্চা করে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের চামুর্চি গেট খোলা হয়।
হাজির ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ভারতের তরফেও একই ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কখন গেট খুলবে, তা দেখার জন্য সকাল থেকেই ভুটানের গেটের সামনে অধীর আগ্রহে ভিড় জমান ছোট্ট গ্রাম চামুর্চির বাসিন্দারা।
শুক্রবার ভুটান গেট খোলার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন ভুটানের সামসি জেলার জেলাশাসক পাসাং দর্জি, পুলিশ সুপার লনড্র্যুপ দর্জি, ভারতীয় গোর্খা কাউন্সিলের সম্পাদক সন্দীপ ছেত্রী, ইন্দো-ভুটান বন্ধুত্ব কমিটির সদস্য রেজা করিম-সহ দু’দেশের অনেকেই। প্রথমে ভারতীয় অতিথিদের ভুটানে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেরিং বলেন, ‘‘আমাদের দেশে ৯৪ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা নিয়ে ফেলেছেন। পর্যটকদের সুবিধার্থেও বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে।’’ ভারত ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখার বার্তা দেন সামসির জেলাশাসকও। তিনি বলেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) থেকে সকলের জন্যেই ভুটান গেট খুলে দেওয়া হল। আড়াই বছর ধরে এই গেট বন্ধ ছিল। পর্যটকরা রাত্রিযাপন করলে তার জন্য ১,২০০ টাকা লাগবে। কিন্তু দিনের বেলা ঘুরে এলে কোনো টাকা লাগবে না। সকলকেই ভুটানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা।’’
অতিমারি শুরু হওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ভুটান সীমান্ত। যার জেরে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অর্থনীতিই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। বহু মানুষ ভিন্রাজ্যে পাড়ি দেন কাজের সন্ধানে। চামুর্চি, জয়গাঁ সর্বত্র একই ছবি দেখা যাচ্ছিল। তবে গেট খুলে ব্যবসাবাণিজ্য আবার উন্নত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন