পুজো এবং পর্যটনের প্রসারের লক্ষ্যে মহালয়া থেকে বিষ্ণুপুরে ‘পোড়া মাটির হাট’

রাসমঞ্চের বিষ্ণুপুর। নিজস্ব চিত্র
ইন্দ্রাণী সেন

লাল মাটির রাস্তা, সোঁদা মাটির গন্ধ, ধামসা মাদলে ভেসে আসছে রাঙা মাটির সুর। শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। মা উমা এলেন বলে। তারপরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।

মা তো চলে এলো আপনি কি ঠিক মতো পেরেছেন তৈরি হতে? যদি এখনও কেনাকাটা বাকি থাকে, তা হলে চিন্তার কোন কারণ নেই। চলুন বিষ্ণুপুরের ‘পোড়া মাটির হাটে’। শুধু কী কেনাকাটা! রয়েছে খাওাদাওয়ার যাবতীয় আয়োজন। কানামাছি, কুমির ডাঙা, রুমাল ছোঁয়া ছুয়ি, কিতকিত আপনাকে ফিরিয়ে দেবে আপনার শৈশবে। এই ‘পোড়া মাটির হাট’-এ এলেই আপনার হাতের সামনে সবকিছু।

পর্যটন শিল্পের প্রসারে এ বার এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন। আগামী মহালয়ার দিন শহরের জোড় মন্দির প্রাঙ্গনে শুরু হচ্ছে ‘পোড়া মাটির হাট’। যেখানে সরাসরি শিল্পীদের কাছ থেকেই সংগ্রহ করা যাবে তাদের তৈরী শিল্প সামগ্রী। বালুচরী, টেরাকোটা, ডোকরা থেকে শুরু, রেশম, তসর, তাঁত এমনকি লন্ঠন,শাঁখ, কাঁসা , পোড়ামাটির জিনিস সব কিছুই কিনতে পারবেন এখানে।

আরও পড়ুন তালের রসগোল্লার স্বাদ নিতে চলুন বাঁকুড়ার সিমলাপাল

শুধু এই হাটই নয়। মহকুমার পর্যটনের প্রসারে নিয়ে আসা হয়েছে বিশেষ একটি ওয়েবসাইটও। সম্প্রতি এই ওয়েবসাইটটি আত্মপ্রকাশ করেছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসক মানস মন্ডল বলেন, “বিষ্ণুপুরের পর্যটন শিল্পের বিকাশে মহকুমা প্রশাসন এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।” বিষ্ণুপুর পর্যটনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে অনেক তথ্য পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। ওয়েবসাইটটি হল bishnupurtourism.com।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *