উত্তরবঙ্গের নতুন আবিষ্কার, শায়িত রবীন্দ্রনাথ দেখতে চলুন…

rabindra peak

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: প্রকৃতির কী অদ্ভুত উপহার! কাঞ্চনজঙ্ঘাকে সন্দকফু অঞ্চল থেকে যে রকম শায়িত বুদ্ধ লাগে, এ যেন প্রকৃতির আরেক বিচিত্র সৃষ্টি। ঠিক যেন রবীন্দ্রনাথের মুখ। রবীন্দ্রনাথ শুয়ে থাকলে তাঁর মুখাবয়ব যেমন লাগবে, অবিকল তাই।

জায়গাটা সিটং, দার্জিলিং থেকে ৪৫ কিমি দূরে। অতি সম্প্রতি পাথরের এই বিচিত্র গঠন আবিষ্কার হয়েছে সিটং-এর অহলদাঁড়ায়। এ এমন একটা আবিষ্কার, যা স্থানীয় অঞ্চলের অর্থনীতি পালটে দিতে পারে।

আরও পড়ুন: চলুন বেরিয়ে পড়ি: উপকূল কর্নাটক ও গোয়া

এখানকার হোমস্টে মালিকরা অহলদাঁড়ার ওই অঞ্চলকে ‘রবীন্দ্র পিক’ বলে পর্যটকদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। ওই অঞ্চলের অন্যতম হোমস্টে ‘বিশেষ’-এর মালিক বিক্রম রাই জানান, “কিছু দিন আগে কলকাতার এক পর্যটক ওই বিচিত্র গঠনের পাথরের ছবি তুলে আমাদের দেখান। ওই পাথর দেখে মনে হয়, ঠিক যেন এক বৃদ্ধ মানুষের মুখ। আমরা এখন একে ‘রবীন্দ্র পিক’ বলছি এবং ট্যুরিস্টদের সেখানে নিয়েও যাচ্ছি।”

এই ‘আবিষ্কার’কে এলাকার অর্থনৈতিক দিক থেকে কাজে লাগাতে চাইছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)।

জিটিএ-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব ট্যুরিজম সুরজ শর্মা বলেন, “পাথরের এই বিচিত্র গঠন সম্পর্কে আমরা অতি সম্প্রতি জানতে পেরেছি। এখন যে সব ট্যুরিস্ট সিটং আসছেন, তাঁরাই শুধু ওই পাথর দেখতে যাচ্ছেন। আমরা চাই সব ট্যুরিস্টই এখানে আসুন। স্থানীয় গ্রামবাসীদের কিছু উপকার হোক।”

সুরজবাবু আরও বলেন, যে জায়গা থেকে পাথরের ওই বিচিত্র গঠনকে রবীন্দ্রনাথের মুখ বলে মনে হয় সেখানে একটি সেলফি জোন তৈরি করা যায় কিনা সে ব্যাপারে জিটিএ একটি রিপোর্ট তৈরি করছে।

“আমরা একে রবীন্দ্র পার্ক নাম দেব”, সুরজবাবু বলেন। জায়গাটা ‘ডায়রেক্টোরেট অব সিনকোনা অ্যান্ড আদার মেডিসিনাল প্লান্টস’-এর আওতায়।

ব্যাপারটা কাকতালীয় ভাবতে পারেন। কিন্তু মজার কথা হল, দার্জিলিং পাহাড়ের যে জায়গায় বিশ্বকবি নিয়মিত যেতেন, সেই মংপু, অহলদাঁড়ার এই ভিউ পয়েন্ট থেকে গাড়িতে মাত্র আধ ঘণ্টার পথ।      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *