ওয়েবডেস্ক: না, আমরা ভুল কিছু বলিনি। উত্তরপ্রদেশে সত্যিই জায়গাটি আছে। নাম চুকা বিচ। অর্থাৎ চুকা সৈকত। কিন্তু যে রাজ্যের কোনো প্রান্তেই সমুদ্রের কোনো অস্তিত্ব নেই, সেখানে সৈকত এল কী ভাবে?
উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট থেকে ৬০ কিমি দূরে, নেপাল সীমান্তের কাছে সারদা নদীর একটি বড়ো জলাধারের একটা প্রান্তে তৈরি হয়েছে এই নতুন পর্যটন কেন্দ্রটি। যে হেতু মস্ত বড়ো জলাশয়ের ধারে এই জায়গা, তাই সৈকতের স্বীকৃতি পেয়েছে।
হিমালয়ের পাহাড় কিন্তু খুব বেশি দূরে নেই। একটু দূরেই দেখতে পাবেন তাদের। পিলিভিট থেকে চুকাগামী রাস্তার সৌন্দর্য অতুলনীয়। পিলিভিট টাইগার রিজার্ভের মধ্যে দিয়ে ছুটে চলে রাস্তা। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে আপনার কিন্তু দারুণ লাগবে।
সারদা নদীর ধারে চুকায় পৌঁছোতেই এক অনন্য অভিজ্ঞতা হবে আপনার। চোখের সামনে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা দেখতে দেখতে আপনার সময় কেটে যাবে। ডাঙায় চিতাবাঘ দেখুন না দেখুন, জলে কিন্তু কুমীর দেখতে পাবেন।
সুতরাং আর দেরি কেন, একবার হয়ে যাক চুকা ভ্রমণ।
কী ভাবে যাবেন
এতক্ষণে জেনেই গিয়েছেন যে পিলিভিট থেকে আপনাকে চুকা যেতে হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পিলিভিট যাওয়া। হাওড়া বা দিল্লি থেকে পিলিভিটগামী কোনো ট্রেন নেই। সুতরাং উপায় হচ্ছে কিচ্চা দিয়ে যাওয়া। হাওড়া থেকে সাপ্তাহিক লালকুয়া এক্সপ্রেসে পৌঁছোতে পারেন কিচ্চা। সেখান থেকে চুকা ৭৮ কিমি। দিল্লি থেকে তো আবার কিচ্চারও ট্রেন নেই। তাই আপনাকে পৌঁছোতে কাঠগোদাম। সেখান থেকে চুকা ১০১ কিমি। ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসার জন্য আগে পৌঁছোন বরেলি। বরেলি থেকে চুকা ১৩৪ কিমি। কিচ্চা/কাঠগোদাম/বরেলি থেকে চুকা আসুন গাড়ি ভারা করে।
কোথায় থাকবেন
এখানে থাকার জন্য রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ইকো ট্যুরিজম দফতরের চুকা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার। জলাধারের একদম ধারেই এই রিসোর্ট। অনলাইনে বুক করার জন্য লগইন করুন upecotourism.in-এ।