নদীর গর্জন আর পাখির কলতান মিলেমিশে একাকার, ঘুরে আসুন রেশিখোলা

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: কয়েকটি রিসর্ট তথা হোমস্টে। এ ছাড়া কার্যত বসতিহীন এক জায়গা। রাত যত গভীর হয়, ততই বাড়ে নদীর গর্জন। তৈরি হয় এক গা ছমছমে পরিবেশ। আবার রাত পেরিয়ে যখন ভোর হয়, তখন সেই নদীর গর্জনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে শুরু হয় পাখির কলতান। শহুরে কোলাহল, দূষণযুক্ত পরিবেশের বাইরে এমন একটা জায়গায় রাত কাটাতে আপনার নিশ্চয়ই ভালো লাগবে?

রেশিখোলা হল তাই প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে স্বর্গরাজ্য। নেপালি ভাষায় খোলা শব্দের অর্থ হল বয়ে চলা ধারা আর নদীটির নাম রেশি। তাই এই স্থানটির নাম হয়েছে রেশিখোলা। তবে উচ্চারণের তারতম্যের কারণে এটি অনেক ক্ষেত্রেই ঋষিখোলা হিসেবেও পরিচিত হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রতল থেকে এর উচ্চতা হাজার দুয়েক ফুট। চার দিকে ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ি উপত্যকার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা রেশি নদীর সৌন্দর্য আপনাকে আকর্ষিত করে তুলবে।

সারা দিন নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকা ,নদীর জলে স্নান করা বা নদীর মাছ ধরা — সমস্ত কিছু আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন এই রেশিখোলাতে। এর সঙ্গে পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য শীতল বাতাস এবং শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ মিলিয়ে এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করবে এই জায়গাটি।

সিল্করুট ভ্রমণের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান এই রেশিখোলা। সাধারণত পর্যটকরা ভ্রমণের একদম শেষলগ্নে একটা রাতের জন্য এখানে থেকে যান। তবে দুটো রাতও আরামে থাকতে পারেন এখানে।

রেশিখোলায় বছরের যে কোনো সময়ই যেতে পারেন। তবে বর্ষার একটা অন্য রকম সৌন্দর্য আছে। অবশ্যই, বর্ষায় এখানে আসতে গেলে বিস্তর সমস্যা পোহাতে হবে। রাস্তা ভালো থাকবে না। তার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। কিন্তু তবুও চারিদিকে ঘন সবুজ দেখতে হলে বর্ষার কোনো বিকল্প নেই।

কোথায় থাকবেন

রেশিখোলাতে রাত্রিবাসের জন্য বেশ কিছু রিসর্ট এবং হোমস্টে রয়েছে। এদের মধ্যে Mozaulay River Retreat উল্লেখযোগ্য। এখানে রাত্রিবাসের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন 9830940100 এবং 7003732409 এই নম্বরগুলিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *