পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের আসনের আগাম সংরক্ষণ শুরু হয়ে যাবে জুনের একেবারে গোড়ায়। সুতরাং আর দেরি নয়। এখনই করে ফেলুন পুজোর ভ্রমণ পরিকল্পনা। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ভ্রমণ অনলাইন এ বারও সাজিয়ে দিচ্ছে এক গুচ্ছ ভ্রমণ পরিকল্পনা। শুরু করেছে উত্তর-পূর্ব ভারত দিয়ে।
সফরসূচি
ভ্রমণ শুরু গুয়াহাটি থেকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গুয়াহাটি ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত।
যথারীতি কলকাতা থেকে যাওয়ার বেশ কিছু ট্রেন আছে। সরাইঘাট এক্সপ্রেস প্রতি দিন বিকেল ৩:৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে গুয়াহাটি পৌঁছোয় পরের দিন সকালে ১০.০৫-এ। কামরূপ এক্সপ্রেস সোম ও শুক্রবার বাদে বাকি দিনগুলোয় সন্ধে ৬টায় হাওড়া থেকে ছেড়ে গুয়াহাটি পৌঁছোয় পরের দিন বিকেল ৩:৪০-এ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস প্রতি দিন সকাল ৬:৩৫-এ শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে গুয়াহাটি পৌঁছোয় পরের দিন ভোর ৩:৪০ মিনিটে। এ ছাড়াও আরও ট্রেন আছে। বিস্তারিত দেখে নিন erail.in-এ।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Umiam-19.05-1024x588.jpg)
প্রথম দিন – গুয়াহাটি থেকে চলুন শিলং। দূরত্ব ৯৯ কিমি। পথে দেখে নিন উমিয়াম লেক তথা বড়াপানি। গুয়াহাটি থেকে নিয়মিত বাসও আছে। গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন। রাত্রিবাস শিলং।
দ্বিতীয় দিন — আজও থাকুন শিলং-এ।
শিলং-এ দেখে নিন
(১) শহরের প্রাণকেন্দ্রে ওয়ার্ডস লেক ও বোটানিল্যাল গার্ডেন। (২) শিলং গলফ্ কোর্স – শহরের নীচের ধাপে পাইনবনে ঘেরা। পাশেই রেস কোর্স ও পোলো গ্রাউন্ড। পোলো গ্রাউন্ডের বিপরীতে ট্যুরিস্ট লজের নিচুর ঢালে কালী মন্দির। কাছেই বুদ্ধ মন্দির। (৩) শিলং পিক – ১০ কিমি দূরে, ৬৪৪৫ ফুট উচ্চতায়। (৪) এলিফ্যান্ট ফলস্ – শিলং-চেরাপুঞ্জি পথে ১২ কিমি গিয়ে সামান্য ডাইনে। (৫) ডন বসকো ক্যাথিড্রাল – তৈলচিত্রে যিশুর জীবনের নানা আখ্যান বর্ণিত। রঙিন কাচে আলোর বিচ্ছুরণ দেখার মতো। (৬) রামকৃষ্ণ মিশন – ক্যাথিড্রালের কাছেই। (৭) লেডি হায়দারি পার্ক, মিনি জু ও ফরেস্ট মিউজিয়াম – একই চত্বরে। একই টিকিটে দেখা যায়। (৮) ক্রিনোলাইন ফলস্ – শহর থেকে দেড় কিমি দূরে। লাগোয়া বনসাই ও অর্কিড আকর্ষণ বাড়িয়েছে। (৯) বিশপ ও বিডন ফলস – ৫ কিমি দূরে। (১০) রিবং-এ রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি-বিজড়িত ‘মালঞ্চ’ বাড়ি। (১১) ওয়াংখার বাটারফ্লাই মিউজিয়াম।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Kynrem-19.05-1024x576.jpg)
তৃতীয় দিন – খাসি পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে শিলং থেকে চলুন চেরাপুঞ্জি। দূরত্ব ৫৪ কিমি। এ দিন থাকুন চেরাপুঞ্জিতে। এখানে দেখুন –
(১) রামকৃষ্ণ মিশন – চেরাপুঞ্জির একটু আগে। (২) মওসমাই ফলস্ – সার্কিট হাউস থেকে ২ কিমি দূরে বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম জলপ্রপাত। (৩) নোহ-কালিকাই ফলস্– মওসমাইয়ের কাছে কিংবদন্তিতে ঘেরা জলপ্রপাত। (৪) কিনরেম ফলস্ – ধাপে ধাপে তিন ধাপে নামা জলপ্রপাত, সেলার পথে ১০ কিমি, মেঘালয়ের সর্বোচ্চ। (৫) ডবল ডেকার রুট ব্রিজ – চেরাপুঞ্জি থেকে ২১ কিমি দূরে নংরিয়াতে।
এ ছাড়াও দেখে নিতে পারেন ইকো পার্ক, সেভেন সিস্টার ফলস্, খাংখারাং পার্ক, নংগিথিয়াং ফলস্ ইত্যাদি।
চতুর্থ দিন – চলুন মওলিননং। এশিয়ার সব থেকে পরিচ্ছন্ন গ্রাম। চেরাপুঞ্জি থেকে খুব সকালে বেরিয়ে পড়ুন, দূরত্ব ৮০ কিমি। মওলিননং গ্রামের মাঝে সুন্দর চার্চ, পাশ দিয়ে বয়ে গেছে থাইলাং নদী। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ থাইলাং-এর ওপর লিভিং রুট ব্রিজ। আরও দু’টি দ্রষ্টব্য ব্যালান্সিং রক এবং স্কাই ভিউ পয়েন্ট। মওলিননং ঘুরে চলুন বাংলাদেশ সীমান্তে প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য ডাওকি। দুরত্ব ৩০ কিমি। ফিরে আসুন শিলং। ডাওকি থেকে শিলং ৭৯ কিমি। রাত্রিবাস শিলং।
পঞ্চম দিন – বাসে বা গাড়িতে ফিরে আসুন গুয়াহাটি। রাত্রিবাস গুয়াহাটি।
ষষ্ঠ দিন – আজও রাত্রিবাস গুয়াহাটি।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Basisht-19.05.jpg)
গুয়াহাটিতে দেখে নিন –
কামাখ্যা মন্দির (নীলাচল পাহাড়ে), ভুবনেশ্বরী মন্দির (কামাখ্যাদেবীকে পুজো দিয়ে চলুন নীলাচল পাহাড়ের মাথায়, ভুবনেশ্বরী মন্দির চত্বর থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য ভোলার নয়), নবগ্রহ মন্দির (শহরের প্রাণকেন্দ্রে, নবগ্রহ পাহাড়ের শিরে, পাহাড়ের উপর থেকে গুয়াহাটি শহর ও ব্রহ্মপুত্রের অসাধারণ ভিউ), উমানন্দ মন্দির (ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে পিকক আইল্যান্ডে, কাছারি ঘাট বা ফ্যান্সিবাজার ফেরি ঘাট থেকে ফেরি), বশিষ্ঠ আশ্রম (পাহাড় থেকে নেমে আসা তিনটি ঝরনাধারায় সৃষ্টি হয়েছে বশিষ্ঠ গঙ্গা, কাছেই বশিষ্ঠ মন্দির, শিব মন্দির), বালাজি মন্দির (তিরুপতি মন্দিরের আদলে গড়া), চিড়িয়াখানা ও বটানিক্যাল গার্ডেন।
সপ্তম দিন – চলুন জিয়া ভরলি নদীর তীরে ভালুকপং, দূরত্ব ২৪০ কিমি। দেখুন ৭ কিমি দূরে টিপিতে অর্কিড আর ক্যাকটাসের অর্কেডারিয়াম। দেখে নিতে পারেন জিয়া ভরলি নদীর তীরে ভালুকপং দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। রাত্রিবাস ভালুকপং।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Jia-Bharoli-19.05.jpg)
অষ্টম দিন – সকালেই বেড়িয়ে পড়ুন, গন্তব্য বমডিলা (২৫৩০ মিটার), দূরত্ব ৯৭ কিমি। দেখে নিন বমডিলা মন্যাস্টেরি, আপার গোম্পা, লোয়ার গোম্পা, বমডিলা ভিউ পয়েন্ট, আর আর হিল, আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট সেন্টার, চিলিপাম গোমপা (ভালুকপং থেকে বমডিলা যাওয়ার পথে টেঙ্গা মার্কেট থেকে ব্রিজ পেরিয়ে রূপা ভ্যালির পথে, দূরত্ব ১৯ কিমি, চিলিপাম থেকে বমডিলা থেকে ২৮ কিমি) ইত্যাদি। রাত্রিবাস বমডিলা।
নবম দিন – চলুন তাওয়াং (৩০৪৮ মিটার), দূরত্ব ১৭১ কিমি। পথে পড়বে ৪২১৫ মিটার উঁচু সেলা পাস। দেখে নিন সেলা লেক। তাওয়াং শহরে ঢোকার ১৭-১৮ কিমি আগে জসবন্তগড়, ১৯৬২-এর ভারত-চিন যুদ্ধে নিহত সৈনিক জসবন্ত সিং-এর স্মৃতিতে তৈরি স্মারক। রাত্রিবাস তাওয়াং।
দশম ও একাদশ দিন – তাওয়াং-এ ঘোরাঘুরি ও রাত্রিবাস।
তাওয়াং-এ দেখে নিন –
(১) তাওয়াং মন্যাস্টেরি – পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম, লাসার পরেই। রয়েছে মিউজয়াম, বুদ্ধের ২০ ফুট উঁচু মূর্তি ইত্যাদি। ওপর থেকে তাওয়াং শহরের অভূতপূর্ব দৃশ্য।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-inside-Tawang-19.05-1024x580.jpg)
(২) তাওয়াং ওঅর মেমোরিয়াল – সিটি সেন্টার থেকে ১ কিমি, ১৯৬২-এর ভারত-চিন যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মৃতিতে তৈরি স্মারকস্তম্ভ।
(৩) নুরানাং ফলস্ – তাওয়াং থেকে ২৫ কিমি।
(৪) উরগেলিং গোম্পা – তাওয়াং শহরেই, ষষ্ঠ দলাই লামার জন্মস্থল।
(৫) পি টি সো লেক – শহর থেকে ২১ কিমি। হিমালয়ের তুষারাবৃত নানা শৃঙ্গ দৃশ্যমান।
(৬) মাধুরী লেক – শহর থেকে ৪০ কিমি, আরও এক নাম সাংতেসর লেক। মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ফিল্ম ‘কোয়লা’র শুটিং হওয়ার পর এই লেক মাধুরী লেক হিসাবে পরিচিত।
(৭) নাগুলা লেক – বুম লা-র পথে।
(৮) ভারত-চিন সীমান্তে বুম লা ও দুই দেশের নিয়ন্ত্রণরেখা।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Bum-La-19.05-1024x657.jpg)
দ্বাদশ দিন – চলে আসুন দিরাং, দূরত্ব ১২৯ কিমি। দিরাং নদীর পাড়ে দিরাং শহর। দেখে নিন আপেল বাগিচা, কালচক্র গোম্পা, অর্কিড রিসার্চ সেন্টার, ইয়াক রিসার্চ সেন্টার, উষ্ণ জলের কুণ্ড (৫ কিমি দূরে), দিরাং জং ইত্যাদি। রাত্রিবাস দিরাং।
ত্রয়োদশ দিন – চলে আসুন তেজপুর, ১৯৬ কিমি। রাত্রিবাস।
চতুর্দশ দিন – ঘরপানে চলুন। তেজপুর থেকে সরাসরি বিমানে কলকাতা চলে আসতে পারেন। অথবা গুয়াহাটি এসে বিমান বা ট্রেন ধরতে পারেন। দেশের যে কোনো জায়গা যাওয়ার জন্য গুয়াহাটি থেকে ট্রেন বা বিমান পাবেন। তেজপুর থেকে খুব ভোরে বেরিয়ে চলে আসুন গুয়াহাটি, ১৭৫ কিমি। প্রতি দিন দুপুর ১২-২০ মিনিটে গুয়াহাটি থেকে ছেড়ে পরের দিন ভোর ৫:১৫-য় হাওড়া পৌঁছোয় সরাইঘাট এক্সপ্রেস। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস প্রতিদিন রাত ১০:৫০-এ গুয়াহাটি থেকে ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছোয় পরের দিন সন্ধ্যা ৭:২৫-এ।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Sela-Pass-19.05.jpg)
কী ভাবে ঘুরবেন
(১) গুয়াহাটি স্টেশন থেকে একটা গাড়ি ভাড়া করে শিলং আসাই সুবিধা। সময় বাঁচে। পথে ধীরেসুস্থে বড়াপানি দেখে নিতে পারেন।
(২) লোকাল ট্যাক্সিতে শিলং ঘুরে নিয়ে ওই গাড়ি নিয়েই চেরাপুঞ্জি-মওলিননং ঘুরে এসে শিলং ছেড়ে দিন। শিলং থেকে বাসে ফিরুন গুয়াহাটি। শিলং-এ পুলিশবাজার ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গাড়ি ভাড়ার তালিকা দেওয়া আছে।
(৩) গাড়ি বা অটো ভাড়া করে ঘুরে নিন গুয়াহাটি।
(৪) গুয়াহাটি থেকে ভালুকপং আসার জন্য বাস পাবেন, তবে তাতে সময় লাগবে। অরুণাচল রাজ্য পরিবহণেরও বাস পাওয়া যায়।
(৫) ভালুকপং-বমডিলা, বমডিলা-তাওয়াং, তাওয়াং-দিরাং প্রভৃতি রুটে বাস চলে। তবে সংখ্যায় কম। তাই বাসের উপর নির্ভর না করে অরুণাচল ভ্রমণের জন্য গুয়াহটি থেকে গাড়ি ভাড়া করে নেওয়াই ভালো। কার রেন্টালের জন্য গুয়াহাটিতে যোগাযোগ করতে পারেন – আউম অ্যাসোসিয়েটস (মেল করুন care.aumassociates@gmail.com, ফোন ৮৮৭৬৫৭৭৭৯০), আসাম অন হুইলস (৯৪৩৫১৯২৫৭০, ৮১৩৫০০০২৮৩), হিউজ কমার্শিয়াল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (মেল করুন info@hugecarrentals.com, ফোন ৯৪৩৫১০৮৪৮২), আইগুয়াহাটি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (মেল করুন info@iguwahati.com, ফোন ৯৪৩৫০১৬৮৩৩, ৯২০৭১০২২১৭), লেটস সি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (যোগাযোগ ০৯৪৩৫৩৮৬৩২৮)।
(৬) তবে তাওয়াং ঘোরা, বিশেষ করে বুম লা যাওয়ার জন্য সেখানকার স্থানীয় গাড়ি ভাড়া করতে হতে পারে।
(৭) তাওয়াং-এর উচ্চতা ১০ হাজার ফুট। বুম লার উচ্চতা ১৪ হাজার ফুটেরও বেশি। তাই তাওয়াং ভ্রমণে তিন দিন রাখা হয়েছে। প্রথম দিন বমডিলা থেকে গিয়ে বিশ্রাম। দ্বিতীয় দিন তাওয়াং ও তার আশপাশ এবং তৃতীয় দিন বুম লা, পি টি সো লেক, মাধুরী লেক ইত্যাদি ঘুরে নিন।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Prashanti-19.05-1024x593.jpg)
কোথায় থাকবেন
শিলং শহর জুড়ে হোটেলের ছড়াছড়ি। মেঘালয় পর্যটনের হোটেল পাইনউড (০৩৬৪-২২২৩১১৬), হোটেল অর্কিড (০৩৬৪-২২২৪৯৩৩)। চেরাপুঞ্জিতে থাকার ভালো জায়গা চেরাপুঞ্জি হলিডে রিসর্ট (০৯৪৩৬১১৫৯২৫)।
গুয়াহাটি স্টেশনের কাছেই রয়েছে অসম পর্যটক উন্নয়ন নিগমের প্রশান্তি টুরিস্ট লজ। যোগাযোগ ০৩৬১-২৫৪৪৪৭৫। ভালুকপং-এও আছে অসম পর্যটনের টুরিস্ট লজ। যোগাযোগ ০৩৭৮২-২৩৪০৩৭, ৯৯৫৪১৯১২০২। তেজপুরে থাকার জন্যও রয়েছে অসম পর্যটনের প্রশান্তি টুরিস্ট লজ, যোগাযোগ ০৩৭১২-২২১০১৬। অসম পর্যটনের কলকাতা অফিসে যোগাযোগ ০৩৩-২২২৯৫০৯৪।
অরুণাচলে বিভিন্ন জায়গায় থাকার জন্য হোটেল, হোমস্টের জন্য দেখুন www.arunachaltourism.com । আরও হোটেলের সন্ধান পাবেন makemytrip, goibibo, trivago, cleartrip, holidayiq, tripadvisor ইত্যাদি ওয়েবসাইট থেকে। বমডিলায় থাকতে পারেন বমডিলা মন্যাস্টেরি গেস্টহাউসে। যোগাযোগ ০৩৭৮২-২২৩২৩২। তাওয়াং-এ থাকার জন্য দেখুন tawang.nic.in ।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Shillong-19.05-1024x637.jpg)
মনে রাখবেন
(১) চেরাপুঞ্জিতে ডবল ডেকার রুট ব্রিজ যেতে হলে নামতে হবে হাজার তিনেক সিঁড়ি ভেঙে। সুতরাং ওঠার সময়ে ওই সিঁড়ি ভেঙে উঠে আসতে হবে। হাঁটুর জোর থাকলেই এ পথে যাবেন, নচেৎ নয়।
(২) শিলং-এ জেল রোডে অবস্থিত ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টারে (০৩৬৪-২২২৬২২০) মেঘালয় ঘোরার তথ্য পেতে পারেন।
(৩) ওয়াংখার বাটারফ্লাই মিউজিয়াম শনি ও রবিবার বন্ধ থাকে।
(৪) গুয়াহাটিতে কামাখ্যা মন্দিরের খোলা-বন্ধের সময় আগাম জেনে নিলে বেড়ানোর প্ল্যান করতে সুবিধা হবে।
(৫) উমানন্দ মন্দির সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা।
(৬) অরুণাচল ভ্রমণের জন্য ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) সংগ্রহ করতে হবে। কলকাতা, দিল্লি, গুয়াহাটি, শিলং, তেজপুর, ডিব্রুগড়, নর্থ লখিমপুর, যোরহাটে অরুণাচল সরকারের ডেপুটি রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিস থেকে আইএলপি সংগ্রহ করতে হয়। কলকাতা অফিসের ঠিকানা The Deputy Resident Commissioner, Govt. of Arunachal Pradesh, CE-109, Sector-1, Salt Lake City, Kolkata. 033-23341243/ 23589865 । অনলাইনে আবেদন করতে পারেন www.arunachaltourism.com ।
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/05/Puja-NE-Megha-Aruna-Bomdila-19.05.jpg)
(৭) তাওয়াং থেকে বুম লা যাওয়ার জন্য সেনা বিভাগের কাছ থেকে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয়। স্থানীয় গাড়িচালকরা এই অনুমতিপত্র সংগ্রহে সাহায্য করেন।
(৮) যদি মনে হয় এই ভ্রমণসূচি সময়সাপেক্ষ, তা হলে মেঘালয় বা গুয়াহাটি ভ্রমণ বাদ দিয়ে দিতে পারেন। কলকাতা থেকে ভোরের ফ্লাইটে গুয়াহাটি এসে সে দিন শিলং পৌঁছে গেলে ভ্রমণসূচি এক দিন কমে যায়।
(৯) যথেষ্ট শীতবস্ত্র ও উচ্চতাজনিত অসুস্থতা ঠেকাতে ওষুধপত্র নেবেন।
(১০) ট্রেনের সময়সূচির জন্য দেখে নিন erail.in।
আরও পড়তে পারেন
পুজোয় চলুন/ উত্তরপূর্ব ভ্রমণছক ১: গুয়াহাটি-হাফলং-শিলচর
পুজোয় চলুন/ উত্তরপূর্ব ভ্রমণছক ২: গুয়াহাটি-পোবিতোরা-কাজিরাঙা-মাজুলি-শিবসাগর
পুজোয় চলুন/ উত্তরপূর্ব ভ্রমণছক ৩: গুয়াহাটি-শিলং-চেরাপুঞ্জি-মওলিননং-ডাওকি