ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: এ বার হাঁটতে হাঁটতেই ভ্রমণ হবে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যে সরকারি ভাবে প্রথম ‘ওয়াকিং ট্যুর’-এর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথে পর্যটন দফতর। সরকারি সূত্রের খবর, কলকাতা ছাড়া হুগলি, মালদহ, দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ বা বিষ্ণুপুরের মতো এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে প্রথম বার ‘ওয়াকিং ট্যুর’ তৈরির করার কাজ চলছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি বৈঠক হয়েছিল পর্যটন দফতরের সচিবের সভাপতিত্বে। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন জেলায় অফিসাররা। সেখানে ওয়াকিং ট্যুরের সম্ভাবনা, সমস্যা, কলকাতার বাইরে জেলাগুলিকে জনপ্রিয় করা, প্রচার এবং প্রশিক্ষণের দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে চা-পর্যটন, হোম-স্টে পর্যটনের ধাঁচে প্রকল্পের খসড়া নীতি তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘বিদেশে তো বটেই, আমাদের দেশেও ওয়াকিং ট্যুর জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মানুষ এখন সব কিছু থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান। তাই পর্যটনের ক্ষেত্রেও অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে। ওয়াকিং ট্যুরের নীতিও রাজ্যে তৈরির কথাবার্তা হয়েছে।’’
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, কলকাতার বিবাদি বাগ, মহাকরণ থেকে ডেকার্স লেন বা চন্দননগরের ফরাসি উপনিবেশের গল্প বরাবর আকর্ষণীয়। তেমনই, দার্জিলিঙের ব্রিটিশদের নানা নির্দশন থেকে কালিম্পঙের মর্গান হাউসের গা ছমছম করা মিসেস মর্গানের ইতিহাস, সবই পর্যটকদের কাছে বরাবর আকর্ষণীয়। হেরিটেজ, খাবার, সংস্কৃতি, প্রকৃতি, ফোটোগ্রাফি সব মিলিয়ে ওয়াকিং ট্যুর জনপ্রিয় হচ্ছে।
রাজ্যের বেসরকারি স্তরে অনেকে এই প্যাকেজে কাজ করছেন। কলকাতা ছাড়াও দার্জিলিং, কালিম্পঙে কয়েক বছর আগে শীতে কার্নিভালের সময় ওয়াকিং ট্যুর হয়েছে। কলকাতার স্ট্রিট ফুড বিশ্বের স্ট্রিট ফুডের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বর রয়েছে।তেমনই, দার্জিলিঙের নানা নিদর্শনের সঙ্গে নেপালি খাবার, মোমোর সঙ্গে কমলালেবু বাগান বা চা-বাগিচা হেঁটে ঘোরার আনন্দই অন্য রকম।
এ সব নিয়েই এগোতে চাইছে সরকার। গাড়ির বদলে প্রশিক্ষিত গাইডদের নিয়ে হেঁটে ঘোরার দিকেই ঝুঁকছেন বহু পর্যটক। তা দেখেই সরকারি ভাবে এই ট্যুরকে জনপ্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পর্যটন দফতরের অফিসারেরা জানিয়েছেন।