গঙ্গাবক্ষে জলযাত্রায় ঘুরে নিন শ্রীরামপুর-চন্দননগর, চোখ বোলান ঔপনিবেশিক ইতিহাসে

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: জলযানে গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণ। চলে যান শ্রীরামপুর আর চন্দননগর। স্বাদ নিন এক কালের দিনেমার ও ফরাসি উপনিবেশের। ছুঁয়ে দেখুন ইতিহাসকে। ফিরে আসুন কলকাতার মিলেনিয়াম জেটিতে। সপ্তাহান্তিক ভ্রমণ। শুরু হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার থেকে।

পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের (ডব্লুবিটিসি) উদ্যোগে গঙ্গাবক্ষে এই ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ভ্রমণ পরিকল্পনায় যুক্ত রয়েছে অক্সফোর্ড বুক স্টোর্স এবং ড্যানিশ কালচারাল ইনস্টিটিউট।   

এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউরোপিয়ান সেটেলমেন্ট বোট রাইড’। মিলেনিয়াম পার্ক জেটি থেকে জলযান ছাড়বে প্রতি শনি ও রবিবার সকাল ১০টায়, ফিরে আসবে রাত ৯টায়। খরচ পড়বে মাথাপিছু ৩৫০ টাকা। মিলেনিয়াম পার্ক জেটির কাউন্টার থেকে এই ক্রুজের টিকিট পাওয়া যাবে।

বোট লাইব্রেরির জন্য নির্দিষ্ট জলযানটি ব্যবহৃত হচ্ছে এই রাইডে। এই রাইডে সফর করা হবে এক কালের ডেনমার্কের উপনিবেশ শ্রীরামপুর এবং ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর। সেই সময়ের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ফিরে আসা মহানগরীতে।

শ্রীরামপুরে পর্যটকরা দেখবেন ১৭৮৬ সালে তৈরি ‘দ্য ডেনমার্ক ট্যাভার্ন, ১৮১১ সালে ব্যাপটিস্ট মিশনারিদের প্রতিষ্ঠিত শ্রীরামপুর কলেজ, উনিশ শতকের জননগর ব্যাপটিস্ট চার্চ, সেন্ট ওলাভস চার্চ, ব্যাপটিস্ট মিশন সেমেটারি এবং দ্য ড্যানিশ সেমেটারি।

ডেনমার্ক সরকারের সহযোগিতায় নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে ‘দ্য ডেনমার্ক ট্যাভার্ন’। পর্যটকরা ইচ্ছা করলে এখানে মধ্যাহ্নভোজ সারতে পারেন।

শ্রীরামপুর থেকে চন্দননগর। এখানকার মূল আকর্ষণ গঙ্গার ধারে স্ট্র্যান্ড – ৭০০ মিটার দীর্ঘ গাছে ছাওয়া প্রমোদপথ। এরই ধারে পুরোনো ফরাসি অট্টালিকা এবং অন্যান্য ঔপনিবেশিক ভবন। এখানেই দেখে নেবেন ডুপ্লে প্যালেস, যেখানে রয়েছে চন্দননগর মিউজিয়াম এবং ইনস্টিটিউট।

খোলামেলা ডেকবিশিষ্ট জলযানে লাইব্রেরির পাশাপাশি রয়েছে মুখে টুকটাক চালিয়ে যাওয়ার মতো খাবারের স্টল। ফরাসি অপেরার সুরমুর্ছনায় মজে গিয়ে উপভোগ করুন এই জলযাত্রা।

“ভারতে ইউরোপীয় ইতিহাসের পাতায় এক ঝলক চোখ বোলানোর সুযোগ দেবে গঙ্গাবক্ষে এই ক্রুজ”, বললেন ডব্লুবিটিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রণবীর সিং কাপুর।

আরও পড়ুন: আসছে ভারতীয় রেলের নতুন এসি থ্রি টায়ার ইকোনমি কোচ, ভ্রমণ করে দেখুন কেমন লাগে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *