ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: সুন্দরবনের পর্যটকদের কাছে অন্যতম মূল আকর্ষণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলা। তবে সে ভাগ্য সকলের হয় না। সে কারণে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ঝড়খালির ওয়াইল্ড অ্যানিমেল পার্কে বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনটে বাঘ, কুমির, হরিণ এবং বেশ কিছু পাখি রাখা হয়েছে।
সুন্দরবন মানে যাঁরা শুধুই বাঘ দেখা বোঝেন, তাঁরা এই পার্কের ভেতর খাঁচাবন্দি বাঘকে দেখে আমোদিত হন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে নিজেদের মাত্রাজ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই।
পার্কে যে এনক্লোজারে বাঘ থাকে, তাকে ঘিরে রেখেছে বিশাল বড়ো ফেন্সিং। কিন্তু বাঘের দেখা পেয়ে গেলে পর্যটকরা সে সবের কিছু তোয়াক্কা করেন না। কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে নিমেষের মধ্যে উঠে পড়েন সেই ফেন্সিং-এর ওপরে। বাঘকে ক্যামেরাবন্দি করার তাগিদে এই বিশাল ঝুঁকি নেন সাত থেকে সত্তরের মানুষজন। ফেন্সিং এতটাই উঁচু যে কোনো ভাবে সেখান থেকে পড়ে গেলে বিশাল বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সেই সঙ্গে মানুষজনের তুমুল চিৎকার। বাঘকে চোখের দেখা দেখলেই হইচই শুরু। অনেকেই বোঝেন না যে মানুষের চিৎকারে বন্যপ্রাণ অতিষ্ঠ হতে পারে। আমাদের কানের সামনে কেউ সারাক্ষণ চিৎকার করে গেলে আমরা কি অতিষ্ঠ হই না? বন্যপ্রাণের ক্ষেত্রেও তাই।
এই বিষয়ে পার্কের কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানান কর্মীর অভাবে ঠিকঠাক পাহারা এবং পর্যটকদের ওপরে নজরদারির বন্দোবস্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী এসে গেলে এই ধরনের পরিস্থিতি আর তৈরি হবে না বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা।