খুলে গেল তারাপীঠ ও তমলুকের বর্গভীমা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢোকা যাবে মন্দিরে

শুভদীপ রায় চৌধুরী

মে মাসের মাঝামাঝি রাজ্যে লকডাউন জারি হওয়ার পরে সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তারাপীঠ মন্দিরের দরজা। মোটামুটি এক মাস বন্ধ থাকার পরে ফের খুলে গেল মন্দির। বুধবার ১৬ জুন থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বলবৎ হয়েছে। একই দিনে খুলে গিয়েছে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরের দরজা।  

করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য রাজ্য প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। দোকান, রেঁস্তোরা, মল খুলেছে। রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই দু’টি মন্দির কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিল। তবে মন্দিরে প্রবেশের জন্য পালন করতে হচ্ছে নানা স্বাস্থ্যবিধি।

কলকাতার কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বরের মন্দির-সহ অন্যান্য মন্দিরের সঙ্গে তারাপীঠও বন্ধ হয়েছিল লকডাউনের সময়। মন্দিরে পুজোপাঠ চললেও কোনো দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি মন্দিরে। তবে বুধবার থেকেই ভক্তরা তারামায়ের দর্শন পাচ্ছেন বলেই জানা গেল মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে।

মা বর্গভীমা।

কথা হল মন্দিরের সেবায়েত ধ্রুব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি জানালেন, ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারছেন বটে, তবে মা-কে স্পর্শ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি কোনো ভক্তকে ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক ভক্তকে মাস্ক পরে মন্দিরে ঢুকতে হচ্ছে এবং সঙ্গে রাখতে হচ্ছে স্যনিটাইজার। লাইনে দূরত্ববিধি মেনে চলতে হচ্ছে।  

যত দিন করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হবে তত দিন এমনই নিয়ম থাকবে বলে জানালেন ধ্রুববাবু। মায়ের মন্দিরে নিত্যপূজা যেমন চলছে তেমনই চলবে। তবে কোনো ভক্ত প্রসাদ পেতে চাইলে তাঁকে সেই প্রসাদ বাড়িতে বা হোটেলে নিয়ে গিয়ে খেতে হবে। মন্দিরে বসে কোনো প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেই এখন। তবে এই মুহূর্তে পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় ভক্তের সংখ্যা খুবই কম রয়েছে।

পাশাপাশি তমলুকের বর্গভীমার মন্দিরও খুলে গেল বুধবার থেকে। বর্গভীমা মন্দিরের সময়সীমাতেও বদল আনা হয়েছে বলে জানাল মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দির সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর দেড়টা এবং বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

সূত্র: খবরঅনলাইন

আরও পড়ুন: এ বছরেও গড়াবে না মাহেশের রথের চাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *