ভারতের মুক্তি সংগ্রামে নেতাজির পদাঙ্ক অনুসরণ করে, পর্ব ১

পর্ব ১

২৩ জানুয়ারি, দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী, এক স্মরণীয় দিন। পরাক্রম বা দেশপ্রেম দিবস। দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বাধীনতার জন্য নিরলস সংগ্রামে সুভাষচন্দ্র বসুর ভূমিকাকে সম্মান জানানোর জন্য পরাক্রম দিবস উদযাপন হয়।

বিশেষ দিনটিতে ঘুরে আসুন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক। তাঁকে স্মরণ করতে আপনার গন্তব্য হতে পারে নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত তমলুকে। ১৯৩৮ সালের ১১ই এপ্রিল নেতাজি মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে এসেছিলেন।

অতীতের তাম্রলিপ্ত বন্দর ছিল বাণিজ্যকেন্দ্র। সদর তমলুক সেই সময়কালের জনপদ। ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত বা তমলুক রাজবাড়ির ভগ্নাবশেষ অন্যতম এক পুরনো নিদর্শন। এই রাজবাড়ি চত্বরের মাঠে নেতাজি এসে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় সতীশচন্দ্র সামন্তর হাত ধরে এখানে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গড়ে ওঠে।

তমলুক রাজবাড়ির মাঠ

১৯৩৮ সালে নেতাজি জাতীয় কংগ্রেসের কর্মসূচি সারা বাংলায় ছড়িয়ে দিতে একাধিক জনসভা করেন। সেই সময় তমলুকে কংগ্রেস কমিটির সভা হ্যামিল্টন স্কুলের মাঠ ও হসপিটাল মাঠে ব্রিটিশ সরকার বন্ধ করে দেয়।

তমলুকের রাজা দেশপ্রেমিক সুরেন্দ্র নারায়ণ রায় মহাশয় নিজের বাড়ির সুবিশাল বাগানে সভার আয়োজন করে দেন। হাজার হাজার মানুষ সেদিন নেতাজিকে বরণ করে নেয়। এক রাতের মধ্যে বাগানের সমস্ত আম গাছ কেটে নেতাজির সভা অনুষ্ঠিত করে দেওয়া হয়েছিল। সভা শেষ করে নেতাজি বর্গভীমা মন্দির দর্শন করেন। রাজবাড়ির মাঠে আবক্ষ মূর্তি ও ফলকে সে কাহিনীর উল্লেখ আছে। অমর হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়।

কিভাবে যাবেন :
হাওড়া থেকে ট্রেনে সকাল ৬.৪৫ এর তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসে পৌঁছে যান তমলুক স্টেশন। সেখান থেকে টোটো নিয়ে তমলুক রাজবাড়ি ও বর্গভীমা মন্দির ঘুরে নিন। দিনের দিন ফিরে আসা যাবে।

(চলবে)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top