কেদারনাথ যাত্রীদের কাছে কদর বাড়ছে প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানস্থল রুদ্র গুহার

rudra meditation cave

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: রুদ্র ধ্যান গুহার নিশ্চয়ই শুনেছেন? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, এ বছর লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার আগের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেদারনাথের এই গুহাতেই  বসে ধ্যান করে রাত কাটিয়েছিলেন। সেই গুহা এখন পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। ওই গুহার জন্য মে মাসে ৪টি,  জুন মাসে ২৮টি, জুলাইয়ে ১০টি এবং আগস্টে ৮টি বুকিং হয়েছিল। আপাতত সেপ্টেম্বরে ১৯টি ও অক্টোবরে ১০ টি অগ্রিম বুকিং করা হয়েছে।

আরও পড়ুন এ বার পুজোর মরশুমেই হিমালয়ে বরফ পেতে পারেন পর্যটকরা

প্রথম দিকে গুহাটির দিকে তেমন নজর ছিল না পর্যটকদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থাকার পর এই গুহাটিতে মে মাস থেকে অগ্রিম বুকিংয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগমের অধীনে থাকা এই গুহা খোলা হয়েছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু মে মাসেই এর প্রথম অগ্রিম বুকিং হয়। এই মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ১৯টি, এবং অক্টোবরে ১০টি অগ্রিম বুকিং হয়েছে।  কেদারনাথ মন্দির থেকে ১ কিলোমিটার দূরেই এই গুহা।

পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল জানান, প্রধানমন্ত্রী হলেন ভারতীয় পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর। তিনি রুদ্র গুহায় ধ্যান করার পরেই এই গুহায় পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগমের এক উচ্চ পদস্থ কর্মচারীর কথায়, যে ভাবে এই গুহার জন্যে অগ্রিম বুকিং বাড়ছে, তাতে আশা করা যায় আগামী দুই মাসে আরও বুকিং হবে।

এক রাতের জন্য এই গুহার খরচ ১৫০০ টাকা। আবার ভোর ৬ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত থাকার জন্য ভাড়া ৯৯৯ টাকা। এই গুহাটি শুধু ধ্যান করার জন্যই এবং তাই এই গুহায় এক জনের বেশি মানুষ থাকতে পারবেন না। এই গুহায় অতিথিদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা, পানীয় জল, শৌচাগার, গরম জলে হিটার ইত্যাদি সমস্ত সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনের জন্য একটি টেলিফোন রয়েছে। এ ছাড়া প্রাতরাশ, দ্বিপ্রাহরিক ভোজ এবং নৈশভোজের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া কোনো সমস্যার হলে হোটেলের কর্মচারীদের ডাকার জন্য একটি কলিং বেলের ব্যবস্থাও রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *