প্রাচীন বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ ঘিরে নতুন পর্যটন-সম্ভাবনা মালদহে

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ইতিহাসে সমৃদ্ধ মালদহ জেলা। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ আজও দেশবিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। গৌড়ের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত আরও একটি ইতিহাস রয়েছে মালদহে। এত দিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটকেরা সেখানে তেমন যেতেন না। তবে বর্তমানে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মালদহের প্রাচীন নিদর্শন সেই বৌদ্ধবিহারটি।

এই বৌদ্ধবিহারটি রয়েছে হবিবপুর ব্লকের জগজীবনপুর গ্রামে। মালদহ শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রাম জগজীবনপুর। সুন্দর গ্রামীণ মনোরম পরিবেশের মধ্যে রয়েছে এই নিদর্শন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বৌদ্ধবিহার সংরক্ষণ করা হয়েছে, তৈরি করা হয়েছে সংগ্রহশালা।

এই বৌদ্ধবিহারটি আবিষ্কারের এক ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান ধ্বংসাবশেষের উপরে এক সময় বসতি ছিল। মাটির খুঁড়তে গিয়ে একটি পাথর উঠে আসে। প্রাচীন এই পাথর মাটির নীচ থেকে উঠে আসতেই ইতিহাসের হদিস মেলে। ইতিহাসবিদরা জানতে পারেন এই বৌদ্ধবিহারটি পাল আমলের।

তখন পালরাজা মহেন্দ্র পালের রাজত্ব ছিল। ইতিহাসে এই পালরাজার বর্ণনা উল্লেখ ছিল না। জগজীবনপুরে মাটি খুঁড়ে বৌদ্ধবিহার আবিষ্কার হতেই এই রাজার উল্লেখ মেলে। সংযোজন হয় হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। মাটি খুঁড়ে ধ্বংসাবশেষ থেকে বহু সামগ্রী উদ্ধার হয়। সেগুলি আজও রয়েছে সংগ্রহশালায়।

ইতিহাসবিদের মতে, এটি ছিল বৌদ্ধদের মঠ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষেরা এখানে প্রার্থনা করতেন। উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের আদল বৌদ্ধ মঠের। বর্তমানে এখানে ধ্বংসাবেশ ছাড়া আর কিছুই নেই। বহু পর্যটক বৌদ্ধবিহারের টানে মালদহে এই গ্রামে এখনও ছুটে আসেন। বছরের প্রতিটি সময়ে মানুষ এখানে ভিড় করছেন। ইতিহাসের পাশাপাশি গ্রামের সৌন্দর্যের টানেও মানুষ এখানে আসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *