ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: কর্নাটক মানেই কি শুধু দক্ষিণ ভারতের উপকূল সন্নিহিত একটি রাজ্য? না। যাঁরা শুধু এটাই ভাবেন, সেটা ভুল ভাবেন। গোটা রাজ্যটাই পাহাড় দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সমুদ্রতল থেকে সাড়ে ছ’ হাজার ফুট উচ্চতারও পাহাড়শীর্ষ রয়েছে এই রাজ্যে। একবার জেনে নিই কর্নাটকের কিছু শৈলশহরের কথা, যেখানে গেলে আপনার মন চাঙ্গা হবেই।
১) বিআর হিল্স
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/12/karnataka-br-hills.jpg)
দক্ষিণ কর্নাটকে অবস্থিত এই সুন্দর শৈলশহরটির উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ৫ হাজার ৯০০ ফুট। পূর্ব ঘাট এবং পশ্চিম ঘাটের সঙ্গমে অবস্থিত এই শৈলশহর প্রকৃতিপ্রেমিক এবং বন্যপ্রাণীপ্রেমিকদের কাছে স্বর্গরাজ্য।
২) চিকমাগালুর
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/12/karnataka-chikmagalur.jpg)
মুলিয়ানগিরি পাহাড়ের পাদদেশে সমুদ্রতল থেকে সাড়ে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই শৈলশহরকে কফির রাজধানীও বলা হয়। প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে এক অসাধারণ ভালোবাসার জায়গা এই চিকমাগালুর।
৩) নন্দী হিল্স
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/12/karnataka-nandi-hills.jpg)
সমুদ্রতল থেকে ৪ হাজার ৮৪৯ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই শৈলশহর কর্নাটকের সব থেকে জনপ্রিয় শৈলশহরগুলির অন্যতম। কারণ এটি রাজধানী বেঙ্গালুরুর খুব কাছে অবস্থিত। এই জায়গাটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও যথেষ্ট। কারণ এক কালে টিপু সুলতানের গ্রীষ্মকালীন রাজধানীর কাজ করত এটি। এ ছাড়াও দুর্গ, একাধিক মন্দিরও রয়েছে এই পাহাড়ি জায়গাটিতে।
৪) কেম্মানাগুন্ডি
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/12/karnataka-kemmannagundi.jpg)
বাবা বুদান শৃঙ্গে অবস্থিত এই পাহাড়ি জায়গাটির আরও একটি নাম রয়েছে, শ্রী কৃষ্ণরাজেন্দ্র হিল স্টেশন। এখানে থাকাকালীন আপনি দেখে নিতে পারেন হেব্বে ফল্স, রক গার্ডেন, রাজ ভবন, জেড পয়েন্ট, কলতগিরি ফল্স, বাবা বুদান হিল্স এবং ভদ্রা ব্যাঘ্র প্রকল্প।
৫) মাদিকেরি (কুর্গ)
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/12/karnataka-madikeri.jpg)
সমুদ্রতল থেকে ১ হাজার ৫২৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই অঞ্চলটি ভারতের স্কটল্যান্ড হিসেবেও পরিচিত। অঞ্চলটি পরিচিত কুর্গ হিসেবে। তার জেলা সদর মাদিকেরি। এই অঞ্চলকেও কফির রাজধানী বলা হয়ে থাকে।
৬) আগুমবে
![](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2022/12/karnataka-agumbe-1024x576.jpg)
এই জায়গাটি পরিচিত ‘দক্ষিণ ভারতের চেরাপুঞ্জি’ হিসেবে। সমুদ্র শহরে উদুপি থেকে মাত্র ৫৫ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রতল থেকে দু’ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই শৈলশহরে বছরে সাত হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।