আরাকু তো গিয়েছেন, এ বার চলুন ভাইজ্যাগের কাছে এই শৈলশহরেও

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের হিল স্টেশনের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথম যার কথা মাথায় আসে তা হল আরাকু ভ্যালি। তবে আরাকু এখন প্রচুর জনপ্রিয়। পর্যটন মরশুমে মানুষজনের ভিড় বেড়ে যায়। তবে অনেক ভ্রামণিকই আছেন, যাঁরা তুলনামূলক ভাবে স্বল্প পরিচিত জায়গা খোঁজেন যেখানে নির্ঝঞ্ঝাটে কয়েকটা দিন কাটানো যায়। এমনই একটা জায়গা হল লম্বসিঙ্গি।

সমুদ্রতল থেকে ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই লম্বসিঙ্গিকে অন্ধ্রপ্রদেশের কাশ্মীরও বলা হয়। তবে এটাও ঠিক যে কাশ্মীরের সৌন্দর্যের সঙ্গে কারও কিছুরই তুলনা করা চলে না। যদিও লম্বসিঙ্গির নিজস্ব যে সৌন্দর্য আছে, সেটাও কম কিছু নয়।

শীতে এখানে এমন ঠান্ডা পড়ে যে অনেক সময় শিশির জমে বরফ হয়ে যায়। স্থানীয় ভাষায় এই লম্বসিঙ্গিকে ‘কোরা বায়ালু’ বলা হয়। এই শব্দের অর্থ হল, ‘বাইরে থাকলে যে কেউ ঠান্ডায় জমে যেতে পারে।’

পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথের শেষে সুন্দর একটা উপত্যকা। যে দিকে চোখ যায় শুধু সবুজ সবুজ। আশেপাশে বেশ কিছু জলপ্রপাত। সব মিলিয়ে অফবিট গন্তব্য যাঁরা খোঁজেন, লম্বসিঙ্গি তাঁদের জন্য এক্কেবারেই আদর্শ।

কী দেখবেন লম্বসিঙ্গিতে

১) তাজাঙ্গি জলাধার

২) কোতাপল্লি জলপ্রপাত

৩) সুসান বাগান

৪) ঘাট রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া

৫) ইয়েরভরম জলপ্রপাত

কী ভাবে যাবেন

প্রথমে আপনাকে পৌঁছোতে হবে বিশাখাপত্তনম। সেখান থেকে সড়কপথে লম্বসিঙ্গি ১০১ কিলোমিটার। যেতে লাগবে ৩ ঘণ্টা।

কোথায় থাকবেন

লম্বসিঙ্গিতে রাত্রিবাসের জন্য অনেক রিসর্ট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের রিসর্টও রয়েছে এই শৈলশহরে। অনলাইনে বুক করতে পারেন www.tourism.ap.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *