বেশিরভাগ পর্যটকদের কাছে ঐতিহাসিক দুর্গটি একেবারেই অজানা ও অচেনা। দক্ষিণ ভারতে পন্ডিচেরির খুব কাছেই এই দুর্গটির অবস্থান। পন্ডিচেরি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে।
দক্ষিণ ভারতে জিঞ্জি দুর্গে রাজাদের সঙ্গে মুঘল বাহিনীর বহুদিন ধরে যুদ্ধ চলে। অপ্রতিরোধ্য এই দুর্গ দখল করা একরকম দুরূহ ব্যাপার ছিল মুঘলদের কাছে। আট বছর পর দখল করতে পেরেছিল। যা এক ঐতিহাসিক ঘটনা। চোল, কুরুম্বার, বিজয়নগর, বিজাপুর, মারাঠা, ফরাসি ও সবশেষে ব্রিটিশ বাহিনী দুর্গে নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করে।
তিনটি পাহাড় দিয়ে উঁচু প্রাচীরে ঘেরা এই দুর্গ এক কথায় অসাধারণ। প্রাচীন সেনজিয়াম্মান মন্দির থেকে এই দুর্গের নামকরণ জিঞ্জি হয়।
এক মেষপালক জিঞ্জি দুর্গের কাছে পাহাড়ে বিপুল ধন সম্পদ খুঁজে পায়। সেই দিয়ে ওই মেষপালক সৈন্য সামন্ত জোগাড় করে আর এক দুর্গ নির্মাণ করেন। নাম দেন আনন্দগিরি।

স্থাপত্যের দিক থেকে জিঞ্জিতে বিখ্যাত কৃষ্ণগিরির মন্দির ও রানী দুর্গ। জিঞ্জিতে সবচেয়ে উঁচু দুর্গের নাম রাজাগিরি। যার অর্থ রাজার দুর্গ। বেশ কয়েকটি দুর্গ নিয়ে জিঞ্জি। একসময় এই দুর্গ ঘিরে নগর গড়ে উঠেছিল। টিলার উপর দুর্গের ধ্বংসাবশেষ ও পুরো দুর্গ ঘুরে দেখতে চমৎকার লাগে। একবার দেখলে কখনো ভোলার নয়।
কিভাবে যাবেন:
পন্ডিচেরি ও চেন্নাই দুই জায়গা থেকে সহজেই যাওয়া যায়। চেন্নাই থেকে যেতে ঘন্টা দুই তিনেক সময় লাগে।